স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, সম্প্রতি নজিরবিহীন ইতিহাস দেখেছে ভারতীয় বিমান। গত ছয় দিনে ৭০টি বিমানে বোমা থাকার হুমকি পেয়েছে এয়ারলাইন্সগুলোয়। এ অবস্থায় ‘বোমা আতঙ্ক’ ছড়িয়ে পড়েছে বিমান ব্যবসা পরিচালনা করা এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোর মধ্যে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে গতকাল শনিবার ভারতের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে এভিয়শন সেফটি সংস্থা ব্যুরো অব সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি (বিসিএএস)। বৈঠকে ‘বোমাতঙ্ক’ মোকাবিলায় এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোকে এ ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধিমালা বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছে সরকারি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।
তবে এই পরামর্শ মানতে গেলে বিপত্তির মুখে পড়তে হতে পারে এয়ারলাইন্সগুলোকে। কারণ এতে উড়ানের আগে বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রীদের শরীর ও মালামাল তল্লাশি করতে গিয়ে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হবে এয়ারলাইন্সগুলোর। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার থেকে লাগাতার হুমকিবার্তা আসছে বিভিন্ন সংস্থার বিমানগুলিতে। তার জেরে কোনওটি বাতিল করতে হয়েছে। কোনও বিমানকে জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে ছত্তিশগড়ের এক কিশোরকে হেফাজতে নিয়েছে মুম্বই পুলিশ। তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও। তবে যারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে তাঁদের চিহ্নিত করাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে, কারণ ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করছে অপরাধীরা। যে এক্স হ্যান্ডলগুলি থেকে এই হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে সেগুলি চিহ্নিত করতে ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (১৪সি), ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (সার্ট-ইন) একযোগে কাজ করছে।
এদিকে, এবার বোমাতঙ্ক ছড়ানোর শাস্তি হিসাবে কড়া নিয়ম আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ালে আজীবন বিমানযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে এবার এই বিষয়ে আইন সংশোধনীর পথে হাঁটছে অসামরিক বিমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
#india #indianairlience #flight