স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, সময় যত গড়াচ্ছে, ক্রমশ স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। পূর্ব-মধ্য এবং সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে চলেছে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা হাবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, “শেষ পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় দানা সাগরদ্বীপ থেকে 500 কিলোমিটার, পারাদ্বীপ থেকে 420 কিলোমিটার, ধামড়া থেকে 450 কিলোমিটার দূরে রয়েছে । ঘূর্ণিঝড় দানা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে। তারপর শক্তি বাড়িয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে গিয়ে 24 অক্টোবর মধ্যরাত থেকে 25 অক্টোবর সকালের মধ্যে পুরী এবং সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি ভিতরকণিকা, ধামরার কাছাকাছি জায়গায় আছড়ে পড়বে।”
আগামী 26 অক্টোবর এই ঘূর্ণিঝড়েরর তীব্রতা কমে যাবে । পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব সব থেকে বেশি পড়বে। তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে হওয়ার গতিবেগ 100 থেকে 120 কিলোমিটার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দমকা হাওয়ার গতিবেগ 120 কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলী, উত্তর 24 পরগনা, বাঁকুড়ায় ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় 60 থেকে 70 কিলোমিটার বেগে ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবার রাত থেকেই ঝড় শুরু হতে পারে কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের উপকূলঘেঁষা জেলাগুলিতে। কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলায় ঝড়ের গতি থাকতে পারে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। তা আরও বাড়বে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার। কলকাতায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। তবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে শহরে। শুক্রবার পর্যন্ত সেই বৃষ্টি চলবে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু অংশে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ‘দানা’র প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে।