স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের জানিয়েছে, রাত ৩ টে ৩০ মিনিটের নিরিখে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'-র ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলছে। পিছনের দিকে অংশ এখন স্থলভাগে প্রবেশ করে। ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া আরও দুই থেকে তিন ঘণ্টা চলবে। ভিতরকণিকা ও ধামারার কাছ দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করেছে সাইক্লোন দানা। স্থলভাগে প্রবেশ করার সময় এর গতিবেগ ছিল ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।
তবে বিপদের আশঙ্কায় আগেই এই সমস্ত এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঝড় হতেই ওই সমস্ত এলাকাতে সম্পূর্ণ আলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্ধকারে ডুবে গোটা এলাকা। ফলে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তবে অন্য ছবি পুরীতে। গত দুদিনে সম্পূর্ণ খালি করে দেওয়া হয়েছে অন্যতম এই পর্যটন কেন্দ্র।
কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলায় ঝড়ের গতি থাকতে পারে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। তা আরও বাড়বে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার। কলকাতায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। তবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে শহরে।
এদিকে মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ওড়িশার ১৬টি জেলায় হড়পা বান আসতে পারে। ওড়িশার ধামরায় রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। উপড়ে গিয়েছে গাছ। বর্তমানে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার একাংশ সহ পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।
দুর্যোগের মোকাবিলা করতে পূর্ব মেদিনীপুরের জুনপুট মৎসবন্দরে ২৬টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। বিকেল হতেই বাড়ি ঘর ছেড়ে সেখানে আসতে শুরু করে হত দরিদ্র মানুষ। অন্য়দিকে নয়াচরে পুলিশের তরফে স্পিড বোটে করে পৌঁছে দেওয়া হয় ত্রাণ সামগ্রী।