আশঙ্কাটা ছিলই। অবশেষে সেই আশঙ্কাই হল সত্যি। ঘূর্ণিঝড় দানার বড়সড় প্রভাব পড়েছে গঙ্গাসাগরে। সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে কপিলমুনির আশ্রম চত্বর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কপিলমুনির আশ্রম চত্বর গোটাটাই জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। শুধু কপিলমুনির আশ্রমই নয়, লাগোয়া নিচু এলাকা গুলিতেও হু-হু করে জল ঢুকছে।
কপিল মুনির আশ্রম সংলগ্ন সাগরের পাড়ে শাল কাঠ ফেলে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। সেই বাঁধের ফাঁকা অংশ দিয়েই হু হু করে জল ঢুকছে। ঝড়ের দাপটে সাগরদ্বীপের বিস্তীর্ণ এলাকায় বেশ কিছু গাছ ভেঙে পড়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টি চলছে গঙ্গাসাগরে। স্থানীয়দের আশঙ্কা এমন বৃষ্টি দিনভর চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও মারাত্মক রূপ নিতে পারে। আজ দিনভর বৃষ্টি চললে, গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির আশ্রমে পর্যন্ত জল ঢুকে যেতে পারে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন।
প্রায় একই ছবি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন, গোসাবার মধ্যে উপকূলের অঞ্চলগুলিতে। রাজ্যের পাশাপাশি পড়শি ওড়িশা থেকেও এখনও পর্যন্ত বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। বেশ কিছু অঞ্চলে গাছ ভেঙেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে স্থলভাগে আছড়ে পরার সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। এর জেরে উপকূলের উপরের বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়। তিনি জানিয়েছেন, শেষ ছ ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার গতি বাড়ায় এই ঘূর্ণিঝড়।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দানার প্রভাবে শুক্রবার দিনভর ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই। অতিভারী বৃষ্টি হবে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই দিঘায় সমুদ্র অশান্ত হয়ে ওঠে। শুক্রবার সকালে সমুদ্র অনেকটাই শান্ত। মাঝরাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছে দিঘা, শঙ্করপুর এবং তাজপুরে। বইছে ঝোড়ো হাওয়া। এখনও পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর আসেনি। তবে জল জমেছে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে।