স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, ১৬ দিনে পড়ল ধর্মতলাতে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক রয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের। অনশন চলাকালীনই তাঁরা বৈঠক করবেন, অনশন প্রত্যাহার করে বৈঠক নয়। ইতিমধ্যে এ কথা জানিয়ে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ইমেল করেছেন তাঁরা। বৈঠকের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে শনিবার মুখ্যসচিব অনশনমঞ্চে গিয়েছিলেন। তাঁর মাধ্যমে অনশনকারীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। ১০ দফা দাবি শোনেন তিনি। জবাবও দেন। কিছু দাবি পূরণের জন্য তিন-চার মাস সময় চেয়ে নেন ডাক্তারদের কাছে। তার পরে সোমবার বৈঠকের কথা বলা হয়। মুখ্যসচিব বলেছিলেন, ডাক্তারদের ১০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে নবান্নে বৈঠক হবে। ইমেলে তাঁদের নামও জানাতে বলা হয়েছিল। রবিবার ডাক্তারেরা যে ইমেল মুখ্যসচিবকে পাঠিয়েছেন, তাতে কারও নাম উল্লেখ নেই। কত জন বৈঠকে যাচ্ছেন, তা-ও জানানো হয়নি।
গতকালই মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জুনিয়র ডাক্তারদের ইমেইল করে আজকের বৈঠকে যোগ দিতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। মুখ্যসচিবের ইমেইলের জবাব দিয়ে পাল্টা অনশনকারী আন্দোলনকারীরাও জানিয়েছিলেন তাঁরা বৈঠকে যোগ দেবেন।
এদিকে গতকাল বিকেলে ধর্মতলায় চিৎকার সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন বহু সাধারণ মানুষ। সেই সমাবেশ মঞ্চ থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা বারবার ন্যায় বিচারের দাবি তুলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সঙ্গে তাঁদের যা দাবি তা রাজ্য সরকার মেনে নিক, এই আওয়াজও উঠেছিল সমাবেশ মঞ্চ থেকে।
এদিকে সোমবার সকালে ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে নবান্নের বৈঠকে যাওয়ার ব্যাপারে তাঁদের সম্মতির কথা জানিয়ে অনশনকারী সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা বলেন, "আমাদের প্রতিনিধিরা নবান্নের বৈঠকে যাচ্ছেন। সেই বৈঠকের আগে নেতিবাচক কোনও কথা আমরা বলতে চাই না। মুখ্যমন্ত্রীর উপর আমাদের আস্থা আছে।”