ফের সরকারকে সময় বেঁধে দিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা । সোমবার পর্যন্ত যদি সরকার কোনও সদিচ্ছা না দেখায় তাহলে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিলেন তাঁরা। সরকারি ও বেসরকারি মিলে সর্বস্তরে এই স্বাস্থ্য ধর্মঘটের কথা জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই বিষয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর কান পর্যন্ত আমাদের চিৎকার পৌঁছাচ্ছে না । তাই এই পদক্ষেপ ।"
বৃহস্পতি এবং শুক্রবার এই দু'দিন মিলিয়ে সাতটি সিনিয়র চিকিৎসক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা । তারপরেই তাদের চূড়ান্ত পদক্ষেপের কথা জানান জুনিয়র চিকিৎসক ফ্রন্ট । তাদের প্রতিনিধি দেবাশিস হালদার বলেন, "আমরা ভাবতে পারিনি আমাদের সহযোদ্ধাদের 13 দিন ধরে বসে থাকতে হবে । মনে হয়েছিল, আমাদের দাবি মানবেন মানবিক মুখ্যমন্ত্রী । কিন্তু তাঁর দিক থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া নেই । বরং আমরা দেখছি কার্নিভাল চলছে আর সেখানে উৎসব হচ্ছে ।”
জুনিয়র চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিলেন চিকিৎসকরা৷ তার মধ্যে রাজ্য সরকার সব দাবি না মানলে আগামী মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে সরকারি বেসরকারি সব হাসপাতালে ধর্মঘট পালন করবেন চিকিৎসকরা৷ ধর্মঘট চলাকালীন কোনও রোগীর কিছু হলে তার দায়ও রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে বলে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
শুক্রবার আন্দোলনের রূপরেখা নির্ধারণ করতে সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ সেখানেই এই চরম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ বৈঠকে ঠিক হয়, জুনিয়র চিকিৎসকদের তোলা দশ দফা দাবি পূরণ না হলে মঙ্গলবার চিকিৎসা পরিষেবা ধর্মঘট পালন করা হবে৷