ভারতবর্ষের এক আশ্চর্য গ্রাম ! এখনও গ্রামের ৮ থেকে ৮০ সকলে সংস্কৃত ভাষায় কথা বলে


 স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, আপনি কি সংস্কৃত ভাষা জানেন ? যদি আপনাকে সংস্কৃত ভাষায় কথা বলতে হয় পারবেন কি ?  ভারতে  এমন একটি গ্রাম আছে যেখানে ছোট বড় সকলেই এখনো সংস্কৃত ভাষায় কথা বলে। এটি ভারতবর্ষের সংস্কৃত গ্রাম নামে পরিচিত। তা হল মাত্তুর।  এমনকি স্থানীয় প্রাচীরের গ্রাফিতিও প্রাচীন ভারতীয় ভাষায় লেখা। ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের শিবমোগা জেলার তুঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত বর্গাকার একটি গ্রাম।  এখানে মাত্র ২৮৬৪ মানুষ এখানে বসবাস করে। ( ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)।



পৃথিবীর অন্যতম পুরোনো ভাষা সংস্কৃত। কিন্তু দিন দিন এই ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। তবে এই গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কৃত ও বৈদিক শিক্ষার চর্চা করা হয়। বলা হয় প্রায় ৪৩ বছর আগে ১৯৮১ সালে সংস্কৃত প্রচারের জন্য  "সংস্কৃত ভারতী" নামে একটি সংগঠন মাত্তুরে ১০ দিনের কর্মশালার আয়োজন করেছিল। তারপর থেকেই গ্রামবাসীরা সংস্কৃত সংরক্ষণে উৎসাহ দেখায় ও সংস্কৃত চর্চা শুরু করে।




গ্রামের বাড়ি রাস্তা বিদ্যালয় সবকিছুই সংস্কৃত হরফে লেখা। এমনকি নতুন প্রজন্মকেও গ্রামের  পাঠশালা থেকে সংস্কৃত ও বেদের শিক্ষা দেওয়া হয় । শুধু তাই নয়, গ্রামটি সংস্কৃতে  ৩০টির বেশি অধ্যাপক তৈরি করেছে যারা কর্ণাটক জুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ান। 




মাত্তুরে ঐতিহ্যগতভাবে প্রাচীন ব্রাহ্মণদের একটি সম্প্রদায় বসবাস করে। প্রায় ৬০০ বছর আগে কেরালা থেকে স্থানান্তরিত হয় মাত্তুরে । এরা অত্যন্ত সাধারনভাবে বৈদিক মতে নিজেদের জীবন যাপন করে ।




গ্রামটি প্রাকৃতিক ভাবে অত্যন্ত সুন্দর। এই গ্রামে একটি রাম মন্দির একটি শিবালয় সোমেশ্বর মন্দির এবং লক্ষীকেশব মন্দির রয়েছে। মাত্তুরের যমজ গ্রাম হোসাহাল্লিতে সংস্কৃত ভাষার প্রচলন রয়েছে। মাত্তুর এবং হোসাহাল্লি প্রাচীন গামাকা শিল্পকে সমর্থন করে। যা কর্ণাটকের গান এবং গল্প বলার একটি বিশেষ রূপ। মাত্তুরের মতোই হোসাহাল্লির বাসিন্দারা সংস্কৃত নিয়ে বসবাস করে, খায় এবং নিঃশ্বাস নেয়।


Previous Post Next Post

نموذج الاتصال