স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, জুনিয়র ডাক্তারদের পরীক্ষার লাইভ স্ট্রিমিং বা সরাসরি সম্প্রচার হবে। সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভাবে ওই সম্প্রচারের ব্যবস্থা করছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্প্রচার দেখতে পাবেন। সেই সঙ্গে প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার নজরদারিও থাকবে। পরীক্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ক্যামেরাবন্দি হবে। সেই ফুটেজ এক বছরের জন্য সংরক্ষণ করে রাখবেন কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বা ডিরেক্টরদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত ৩০ অক্টোবরের সেই বৈঠকে ডাক্তারদের পরীক্ষায় কড়াকড়ি নিয়ে আরও একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট (ডব্লিউবিজেডিএফ)।
স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলি লিখিত আকারে প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রতি দিনের প্রতিটি পরীক্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ আলাদা আলাদা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে। পরীক্ষা শেষের তিন দিনের মধ্যে বাধ্যতামূলক ভাবে এই ফুটেজগুলি চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। তা না হলে সংশ্লিষ্ট কলেজের পরীক্ষার ফলঘোষণা স্থগিত হয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়ার পরে অন্তত এক বছর এই ফুটেজগুলি সংরক্ষণ করতে হবে কর্তৃপক্ষকে।
পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগ প্রতিরোধে পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদের হল থেকে বেরিয়ে টুকলি করার প্রবণতা বন্ধে শৌচাগারে পাহারার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও, প্রশ্নপত্র ডাউনলোড ও ছাপানোর প্রক্রিয়ায় কেবলমাত্র নির্ধারিত কর্তারা উপস্থিত থাকবেন এবং সিসিটিভি নজরদারিতে প্রশ্নপত্র ছাপানো হবে।
গত ২১ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ ছিল যে, টাকা নিয়ে পরীক্ষায় পাশ করানো, প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ বিভিন্ন অনিয়ম ঘটছে। মুখ্যমন্ত্রী সেই বৈঠকে পরীক্ষার পরিবেশ স্বচ্ছ করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। এরই ফলশ্রুতিতে এই উদ্যোগ।