স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক,
ফের দুর্যোগের মুখে বাংলা। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফেইঞ্জল। শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে নিম্নচাপ। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপে আরো শক্তি সঞ্চয় করছে। পন্ডিচেরি থেকে ২৩০ কিলোমিটার পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে এবং চেন্নাই উপকূল থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। শনিবার দুপুরে এটি স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। চেন্নাই এবং পন্ডিচেরির মাঝে মহাবলীপুরমের কাছে একটি স্থলভাগে প্রবেশ করবে।
মৌসম ভবনের তরফে জানান হয়েছে, রবিবার সন্ধ্যেয় তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরি, অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানতে পারে এই সাইক্লোন। গত ৬ ঘণ্টায় ৭ কিমি প্রতি ঘণ্টায় উত্তর থেকে উত্তর পশ্চিমে সরছে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ। তবে ল্যান্ডফলের আগে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে সর্বোচ্চ ৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগ হতে পারে ফেঙ্গালের।
রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ২২২৯ টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করেছে। এখনও পর্যন্ত, ১৬৪ টি পরিবারের ৪৭১ জনকে নাগাপট্টিনম এবং তিরুভারুর জেলার ত্রাণ কেন্দ্রগুলিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া দুর্গত এলাকায় মোটর পাম্প, জেনারেটর ও নৌকার মতো প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মোতায়েন করা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং রাজ্য বিপর্যয় প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এসডিআরএফ) ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের জন্যও মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত আকাশ মেঘলাই থাকবে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস বলছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী চার জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর প্রভাব সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের উপর না পড়লেও বছর শেষে শীতের আমেজে খানিক ভাঁটা পড়তে চলেছে। তাই নভেম্বরের শেষে এসে তাপমাত্রা আবার খানিক বেড়েছে।
শনিবার অর্থাৎ ৩০ নভেম্বর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সহ পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুরে। এছাড়াও এই উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে রবিবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।