স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা নাট্যকার মনোজ মিত্র। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। মঙ্গলবার অর্থাত্ ১২ নভেম্বর সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। অভিনেতার মেয়ে ময়ূরী মিত্র জানিয়েছিলেন তাঁর শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। হার্ট ঠিক করে পাম্প করছে না। ওষুধের সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে। তার পর সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ গোটা চলচ্চিত্র জগত্। সমাজমাধ্যমের পাতায় অভিনেতা অভিনেত্রীরা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রয়াত অভিনেতার উদ্দেশ্যে।
‘বাঞ্ছারামার বাগান’, ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’-‘ঘরে বাইরে’, 'শত্রু'-র মতো ছবিতে অভিয়ন করেছেন তিনি। ঝুলিতে ভরেছেন সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার। সল্টলেকের ক্যালকাটা হার্ট ইন্সিটিউটে ভর্তি ছিলেন এই দাপুটে অভিনেতা। বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়ার রক্তচাপ খুবই কমে গিয়েছিল। ওষুধের সাপোর্টে রাখা হয় তাঁকে। তার পর সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।
চন্দন সেনের মা সন্ধ্যা চক্রবর্তী মনোজ মিত্রের সঙ্গে অভিনয় করতেন। সেই স্মৃতি রোমন্থন করে অভিনেতা বললেন, 'মনোজ মিত্র হচ্ছেন এমন এক বিরল নাটককার। আমি মূলত আগে নাটককারই বলব, কারণ একই সঙ্গে তিনি নাট্যকার, নাটককার এবং অভিনেতা। এই তিনটি ক্ষেত্রে একই সঙ্গে প্যারালাল তৈরি করা খুব মুশকিল। নাটককার মনোজ মিত্র এমন এক স্বাক্ষর রেখে গেছেন যে আগামী দিনগুলোতে যতবার যত নাটক যেখানে অভিনীত হবে, সেখানে দেখা যাবে ওঁর নাটকই সবচেয়ে বেশি অভিনীত হচ্ছে। এখনও তাই হয়। ভবিষ্যতেও তাই হবে। আমার একজন মাস্টারমশাইকে হারালাম। আমার যে মাস্টারমশাইরা আছেন তাঁদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মাস্টারমশাইকে হারালাম।
নাট্যকার অভিনেতা সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'মনোজদা বাংলা তথা ভারতীয় থিয়েটারের একজন শ্রেষ্ঠ নাট্যকার। এমন সময় তাঁর আবির্ভাব হয়েছিল যখন বাংলা থিয়েটার নাট্যকারের অভাবে বিদেশি নাটকের অনুবাদ করছে। সেই সময় দু'জন নাট্যকার মনোজ মিত্র আর মোহিত চট্টোপাধ্যায় এসেছিলেন। বাংলা থিয়েটারকে তাঁরা পুষ্ট করেছেন।'