স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে সোমবার শিয়ালদহ আদালতে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়। চার্জ গঠনের পর তিনমাস আগে গ্রেফতার হওয়া এই অভিযুক্তকে এদিন প্রিজন ভ্যানে তোলার সময়ে সে চিৎকার করে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে।
আমি কিছু করিনি। আমাকে ভয় দেখানো হয়েছে। আমার কথা শোনেনি। আমি যখন বলেছি, আমার কথা শোনেনি। আমি কিন্তু রেপ-মার্ডার করিনি। এতদিন চুপচাপ ছিলাম। আমার কোনও কথা শোনেনি। আমায় ভয় দেখাচ্ছে, যে তুমি কিছু বলবে না। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে পুরো ভয় দেখানো হয়েছে। কাউকে বাঁচানোর জন্য আমায় ফাঁসানো হয়েছে। এটা কী কোনও ন্যায়, এটা ভারতের সংবিধানের ন্যায়। আমায় ওপর থেকে নীচে নামিয়ে আনা হল।'
উল্লেখ্য, শিয়ালদা আদালতে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয় এদিন। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত -১ বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ) ও ৩০২ (খুন) ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। মামলার শুনানি ১১ নভেম্বর থেকে হবে। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে। তবে সিবিআই তদন্তকারী দল সঞ্জয় রায়কে এই মামলার মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। গত ৯ আগস্ট আর জি করের চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর ৮৭ দিনের মাথায় সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হল। আগামী ১১ নভেম্বর থেকে প্রত্যেক দিন শুনানি চলবে।
ধর্ষণ-খুন মামলায় আরও দু'জন অভিযুক্ত রয়েছেন—আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। সিবিআইয়ের তদন্তে অভিযোগ করা হয়েছে, সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল সঞ্জয় রায়কে আড়াল করতে ষড়যন্ত্র করেছিলেন। সিবিআইয়ের দাবি, এ দু’জন অভিযুক্ত মূল অপরাধের প্রমাণ লোপাট ও ষড়যন্ত্রে যুক্ত। তবে মামলার তদন্তে প্রমাণ সংগ্রহে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সিবিআই, যাদের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে বাধ্য সিবিআই।