স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, রবিবার ভাইফোঁটা দিতে যাওয়ার পথে এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে মেমারি থানার পুলিশ। তাদের আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত দুই যুবকের নাম সদানন্দ মালিক ও অর্ঘ্য ধারা। আগামীকাল তাদের আদালতে তোলা হবে।
রবিবার খুব ভোরে ভাইকে ফোঁটা দেওয়ার জন্য বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন আনুমানিক ষাট বছরের এক প্রৌঢ়া। রাস্তায় একটি সাঁকোয় বসেছিল ২ মদ্যপ। তারা ওই মহিলার পথ আটকায়। এরপর তাকে ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে প্রথম একটি বাঁশবাগানে ও পরে একটি পুকুর পাড়ে থাকা ঘরের বারান্দায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই দুই যুবক। মহিলার চিত্কারে ওই পুকুরে যারা মাছ চাষ করতেন তারা ছুটে আসেন। ভয়ে পালিয়ে যায় এক যুবক। অন্যজনকে ধরা পড়ে যায়। পরে পলাতক যুবককেও ধরে ফেলে পুলিস। ধৃত দুই যুবকের নাম সদানন্দ মালিক ও অর্ঘ্য ধাড়া।
কল্যাণ হাজরা নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, গ্রামেরই এক বয়স্ক মহিলা দ্বিতীয়ার জন্য পাশের গ্রামে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় একটি সাঁকোতে বসে দুই মদ্যপ ওই মহিলাকে একা পেয়ে তাকে টানতে টানতে একটি বাঁশ বাগানে ও পাশের একটি পুকুরের পাড়ে একটি চালা ঘরে নিয়ে গিয়ে তার উপরে অত্যাচার করে। মহিলার চিত্কারে যারা পুকুর চাষ করে তারা ছুটে আসেন।
দুই দুষ্কৃতীর মধ্যে একজনকে ধরে ফেলে। অন্যজন পালায়। এরপর পুলিসে খবর দিলে পুলিস এসে মহিলাকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য নিয়ে যায়। পাশাপাশি ওই দুষ্কৃতীকেও নিয়ে যায়। পরে যে পালিয়ে গিয়েছিল তাকে পুলিস তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। মহিলার বয়স আনুমানিক ষাট বছর। ভোর বেলা বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন ভাইফোঁটা দিতে। গত ৬ মাসে মেমারিতে অনেকগুলো এরকম ঘটনা ঘটল। এলাকায় মদ গাঁজার বহু আড্ডা হয়ে গিয়েছে। এটা যদি বন্ধ করা না যায় তাহলে এই দুষ্কর্ম থামবে না। নেশার ঠেক গুঁড়িয়ে দিক পুলিস। গ্রামের মানুষ উদ্বিগ্ন।
আক্রান্ত মহিলা ভয়ে চিৎকার করে ওঠেন। এলাকার মানুষ ছুটে এসে একজনকে ধরে ফেলে। অন্যজন তখন পালিয়ে যায়। মেমারি থানার পুলিশ পরে তল্লাশি চালিয়ে পলাতক যুবককে গ্রেফতার করে। এদিন নির্যাতিতার মেডিকেল টেস্ট করানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকায় নেশার ঠেক রয়েছে। পুলিশকে জানানো হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।