স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক,
বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন অতুল সুভাষ। ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট মিলেছে। যেখানে তিনি বছরের পর বছর ধরে দাম্পত্য সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন বলে যে অভিযোগ করেছিলেন, তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন; তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তার স্ত্রী, তার আত্মীয় এবং উত্তরপ্রদেশের এক বিচারকের দ্বারা হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।
মারাঠাহাল্লি থানার অন্তর্গত মঞ্জুনাথ লেআউট এলাকায় নিজের বাড়িতে সুভাষের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। যে ঘরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন সেখানে 'ন্যায়বিচার প্রাপ্য' লেখা একটি প্ল্যাকার্ড পাওয়া গেছে।
কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আগে, তিনি ৮০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে একটি ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন, যে পরিস্থিতিতে তিনি আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা ব্যাখ্যা করেছিলেন।
এই নোটে আইটি কর্মী অতুল সুভাষ সরাসরি তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন তাঁর স্ত্রী এবং স্ত্রীর পরিবারকে। স্ত্রী এবং স্ত্রীর পরিবারের হেনস্থা, অত্যাচারের শিকার হয়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন অতুল, জানা গিয়েছে সুইসাইড নোট থেকে। এই নোট তিনি বেশ কয়েকজনকে ইমেল করেন এবং একটি এনজিওর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও শেয়ার করেন। নোটে অতুল লিখেছেন, তাঁর স্ত্রী বিচ্ছেদের পর থেকেই মাসে ৪০ হাজার টাকার ভরণপোষণ পান, অথচ তিনি অ্যাক্সেঞ্চারের মত বড় টেক সংস্থায় কাজ করেন, নিজে ভাল টাকা উপার্জন করেন। আর তা সত্ত্বেও তিনি অতিরিক্ত ২-৪ লাখ টাকা দাবি করেন।
চারজন ব্যক্তি তাঁর দাদার উপর মিথ্যে মামলা দায়ের করে এবং মামলা নিষ্পত্তির জন্য ৩ কোটি টাকা দাবি করেন। এমনকী তাদের যে ৪ বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে তাঁকে দেখতে যাওয়ার জন্যও ৩০ লাখ টাকা দাবি করেছেন অতুলের স্ত্রী। ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ে অতুল জানিয়েছেন তাঁর শেষ ইচ্ছা এটাই যেন তাঁর সন্তানকে 'মূল্যবোধহীন' স্ত্রীর কাছে না রেখে অতুলের নিজের বাবা-মায়ের কাছে রাখতে দেওয়া হয়।