স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক,
বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতি নির্মন নির্যাতন চলছে! প্রতিবাদে গর্জে উঠল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। সোমবার বিকেলে লেসল ক্লডিয়াস সরণির শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব সাংবাদিক বৈঠক করল। ক্লাবের ফুটবল সচিব সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় এবং শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার এই ইস্যুতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে তাঁরা চিঠি পাঠাবেন।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এবং সমর্থকদের সঙ্গে বাংলাদেশের শিকড়ের টান। এখনও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অনেক সমর্থকের পরিবার, আত্মীস্বজন ওপার বাংলায় রয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে সমর্থকদের অনেকেই ক্লাবকে অনুরোধ করেছে, এই পরিস্থিতি ভালো করার। সাংবাদিক সম্মেলনে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত (নীতু) সরকার বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেব। একটা বিষয় পরিষ্কার করতে চাই, কেউ বিপদে পড়লে পাশে থাকাটাও বড় ব্যাপার। ক্ষুদ্র ক্ষমতা নিয়েও আমরা পাশে আছি, এই বার্তাটাই দিতে চাই। যদি কোনও প্রীতি ম্যাচ খেলতে হয়, আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।’
সোমবার বিকেলে ক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন কর্তারা, সেখানেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি আগামী দিনে বিষয়টি যথাযথ জায়গায় তুলে ধরার আশ্বাস দিয়েছেন লাল হলুদ কর্তারা। ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর এই ধরনের নিপীড়ন বন্ধ হওয়া দরকার। আমরা সকল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করতে চাই যে তারা যেন দয়া করে এই সমস্যাটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সীমান্তের ওপারে আমাদের মা, বোন ও ভাইদের বাঁচাতে এবং শান্তি স্থাপন করতে দিশা দেখান।’
সমস্যার সমাধানই একমাত্র লক্ষ্য। সমস্ত রাজনীতির উর্ধ্বে গিয়ে শান্তি ফেরানোর অনুরোধ ইস্টবঙ্গল ক্লাবের। শীর্ষকর্তা আরও বলেন, ‘রাজনীতির উর্ধ্বে থাকতে চাই। দরকার হলে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছেও এই বিষয়টা তুলে ধরব এবং অনুরোধ করব ওদের রক্ষা করার জন্য। আমাদের কাছে অন্য কোনও প্রস্তাব এলেও ভেবে দেখব। আন্তর্জাতিক ইস্যু, আমরা আগ বাড়িয়ে কিছু করতে পারব না। দুই দেশের কাছেই আবেদন করছি, এটার সমাপ্তি হোক। যিনি আমাদের অভিভাবক, প্রধানমন্ত্রীকেই আমরা জানানোর কথা পরিকল্পনা করছি।’