আর থাকছে না সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল! প্রতিবাদে তীব্র বিক্ষোভ সামিল রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না, করবি মান্না


 আর থাকছে না সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল! প্রতিবাদে তীব্র বিক্ষোভ। সিঙ্গুর ১নম্বর প্ল্যাটফর্মে অবস্থান-বিক্ষোভে এদিন সামিল হন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না, হরিপালের বিধায়ক করবি মান্না-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব ও রেল যাত্রীরা। সিঙ্গুরের কৃষকদের আন্দোলনকে সম্মান জানিয়ে, সিঙ্গুরের রেল যাত্রীদের জন্য ২০০৯ সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা ব্যানার্জি এই লোকাল ট্রেন চালু করেছিলেন। আগামিকাল থেকে আর থাকছে না সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল। প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার ডাক বেচারাম মান্নার। প্রতিবাদ মিছিল চলবে বুধবার বিকেলেও। 



ঘটনা কী? আর কী চলবে না এই ট্রেন? রেল সূত্রের খবর, ট্রেন চলবে আগের মতোই, রাস্তার বদল ঘটবে কিছু। কী হবে সেই বদল? জানা যাচ্ছে, আরও বেশি সংখ্যক যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবং তাঁদের সুবিধার্থে এবার ওই ট্রেন চলবে তারকেশ্বর পর্যন্ত। সিঙ্গুরের বিধায়ক জানান, ‘পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই নোটিশ দেওয়া হয়েছে সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল চলবে তারকেশ্বর পর্যন্ত। তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সিঙ্গুর বাসীর জন্য সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল দিয়েছিলেন। সিঙ্গুর একটি জনবহুল এলাকা। এই স্টেশন দিয়ে ৫২টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। সিঙ্গুর লোকাল থাকায় স্বাচ্ছন্দের সঙ্গে রেলে যাতায়াত করতে পারতেন।পূর্ব রেল চক্রান্ত করে এই ট্রেনটিকে তারকেশ্বর পর্যন্ত নিয়ে যেতে চাইছে।‘


রেলের অবশ্য বক্তব্য, ট্রেন বাতিল হচ্ছে না। বরং দু’টি ট্রেনের যাত্রাপথ সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। রেলের এই ব্যাখ্যায় অবশ্য প্রতিবাদ-বিক্ষোভ থামছে না। মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গুর এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন বেচারাম, তাঁর স্ত্রী তথা হরিপালের বিধায়ক করবী মান্না এবং অন্য তৃণমূল নেতারা। ওই বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের অন্যতম নেতা বেচারাম বুধবার সকালে সবাইকে সিঙ্গুর স্টেশনে হাজির হওয়ার ডাক দেন। মঙ্গলবার বিকেলে রেলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।


এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত বলেন, “যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী দু’টি সিঙ্গুর লোকালের একটি তারকেশ্বর থেকে, অন্যটি হরিপাল থেকে ছাড়বে। তাতে সিঙ্গুরের যাত্রীদেরও সুবিধা হবে। ট্রেন তুলে নেওয়া হয়নি।”




Previous Post Next Post

نموذج الاتصال