স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক,
রাজনীতির ময়দান ছেড়ে ফ্যাশন শো'তে 'জাদু' দেখালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। দোসর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। র্যাম্পে যে দক্ষতার পরিচয় দিলেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাতে 'ব্যর্থ' হতে বাধ্য নামি-দামী মডেলরাও। নয়া দিল্লির ভারত মণ্ডপমে আয়োজিত অষ্টলক্ষ্মী মহোৎসব ফ্যাশন শো-তেই পাশাপাশি র্যাম্প ওয়াকে সামিল এই দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
বঙ্গ বিজেপির সভাপতি থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কদর বেড়েছে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পরই চরম ব্যস্ত সুকান্ত মজুমদার। তবে সব ব্যস্ততার মাঝেও সম্পূর্ণ অন্য রূপে ধরা দিলেন তিনি। নয়া দিল্লির ভারত মণ্ডপমে আয়োজিত অষ্টলক্ষ্মী মহোৎসব ফ্যাশন শো-তেই পাশাপাশি র্যাম্প ওয়াক করলেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
ভারতের ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে তুলে ধরতেই এই ফ্যাশন শোয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে সামিল হয়ে এবং র্যাম্পে হাঁটার অভিজ্ঞতা ভাগ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, “সত্যিই এটা সংস্কৃতি ও উদ্ভাবনের উদযাপন। উত্তর-পূর্ব ভারতের স্টাইলকে তুলে ধরা এই ফ্যাশন শোয়ে দারুণ সময় কাটল। প্রতিটি রাজ্যকে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন শিল্পী ও মডেলরা। আমার সহকর্মী সুকান্ত মজুদারজীর সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে সামিল হতে পেরে গর্বিত।”
উৎসবের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ভাষণে বলেছেন, 'গত এক দশকে আমরা উত্তর-পূর্বের উন্নয়নের একটি দুর্দান্ত যাত্রা দেখেছি, তবে এটি সহজ ছিল না। আমরা উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে ভারতের উন্নয়নের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিয়েছি।' মোদী জানিয়েছেন যে তিনি বিশ্বাস করেন যে আগামীদিনে পূর্ব ভারত এবং উত্তর-পূর্বের। তিনি বলেন, 'মুম্বই, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরুর মতো উত্তর-পূর্ব ভারতের গুয়াহাটি, শিলং, ইম্ফল, ইটানগর এবং আইজলের মতো শহরগুলি উন্নয়নের নতুন প্রতীক হবে। প্রাণবন্ত সংস্কৃতি এবং কঠোর পরিশ্রমী মানুষদের সঙ্গে উত্তর-পূর্বে ভারতের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার অপার সম্ভাবনা রয়েছে।’