স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক,
দ্বেষের বাংলাদেশে থামছে না হিংসা। এবার ঢাকার এক ইসকন সেন্টারে আগুন লাগিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা! হামলা হয়েছে মন্দিরেও। পুড়ে গিয়েছে লক্ষ্মীনারায়ণের মূর্তি। এমনই দাবি করেছেন কলকাতার ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে, এটাই কি 'নতুন' বাংলাদেশ? যেখানে যতদিন যাচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। হিংসার হাত রেহাই পাচ্ছে না ধর্মীয় স্থানও। মারধরের পাশাপাশি পিটিয়ে মেরে ফেলারও অভিযোগ উঠছে।
'গত কয়েকদিনে, বাংলাদেশের মৌলবাদীরা প্রাইভেট জেটে সারাদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ইসকনের ভক্ত ও তাদের সমর্থকদের নির্মূল করার আহ্বান জানিয়ে ধর্মোপদেশ দিচ্ছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে গণহত্যার এই প্রকাশ্য আহ্বান মর্মান্তিক, এবং এই মৌলবাদীদের মোকাবিলায় বাংলাদেশী সরকারের নিষ্ক্রিয়তা আরও ভয়ঙ্কর। অবিলম্বে এই ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতে হবে; অন্যথায়, ইসকনের বিরুদ্ধে এই ধরনের প্ররোচনা এবং গুজব গণহত্যার দিকে পরিচালিত করতে পারে। জেগে ওঠো বিশ্ব।'
এক্সবার্তায় ইসকন কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, শুক্র-শনিবারের রাত ২টো থেকে ৩টের মধ্যে রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও মহাভাগ্য লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সঙ্ঘে এই হামলা চলে। ঢাকা জেলার তুরাগ থানা এলাকার ধৌর গ্রামে নামহট্ট সঙ্ঘটি রয়েছে। মন্দিরের উপরিভাগে থাকা টিন খুলে ভিতরে পেট্রল জাতীয় কিছু অতিদাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে ইসকনের অভিযোগ।
পরে রাধারমন দাস সংবাদ সংস্থাকে বলেন, বাংলাদেশে আমাদের উপর হামলার ঘটনা অব্যাহত। বারবার করে সেদেশের বর্তমান সরকারকে বলা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সরকার ও পুলিশ-প্রশাসন দাঁড়িয়ে দেখছে কিন্তু আমাদের অভিযোগে কর্ণপাত করছে না।
এই পরিস্থিতিতে ভারত সরকার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় বাংলাদেশ সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছে। আগামী ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় পৌঁছবেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর ক্রমাগত নির্যাতনের ঘটনা আন্তর্জাতিক স্তরে নিন্দার মুখে পড়ছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ এবং দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া সময়ের দাবি।