আর জি কর কাণ্ডের পাঁচমাসের মাথায় শেষ হয়েছে বিচারপ্রক্রিয়া। চলতি মাসের ১৮ তারিখ আর জি কর ধর্ষণ ও খুন মামলায় রায়দান করবেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক। ধৃত সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করবে আদালত? সেক্ষেত্রে কী সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক? আদালতের রায়ের অপেক্ষায় গোটা বাংলা।
গত ৭ অক্টোবর আরজি কর-কাণ্ডে প্রথম চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। সেখানে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকেই মূল অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়। সিবিআইয়ের দাবির বিরোধিতা করে আদালতে ধৃতের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তাঁর মক্কেল এই ঘটনার সঙ্গে যুক্তই নন। গোটা ঘটনাটি সাজানো। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে অভিযুক্তকে। সিবিআই জানিয়েছিল, এই ঘটনার তদন্তে যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ মিলেছে, তাতে এক জনই অভিযুক্ত। এক জনের পক্ষেও যে ওই ঘটনা সম্ভব, তা বলা হয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের রিপোর্টেও। কয়েকদিন আগেই নতুন করে তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, সিবিআই প্রমাণ লোপাট করছেন।
৬০ দিনের মাথায় শিয়ালদহ আদালতে বিচারপর্ব শেষ হয়েছে। আগামী ১৮ জানুয়ারি বেলা আড়াইটেয় এই মামলায় রায় ঘোষণা করবেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক। সঞ্জয়কেই কি দোষী সাব্যস্ত করবে আদালত? যদি তাই হয় সেক্ষেত্রে কী সাজা ঘোষণা করা হবে, সেদিকে তাকিয়ে গোটা বাংলা। যদিও আর জি করে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে, তা কারও একার পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয় বলেই বারবার দাবি করেছে বিভিন্ন মহল। অভিযোগ করা হয়েছে, এর নেপথ্যে হাসপাতালেরই কেউ জড়িত। ফলে শুধুমাত্র সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও এই রায় আমজনতা কীভাবে গ্রহণ করবেন, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
আরজি করের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ শুধু নয় দেশ ও বিশ্বজুড়ে আন্দোলন হয়। সাম্প্রতিক কোনও ঘটনার প্রতিবাদে এই ভাবে সাধারণ মানুষের জড়িয়ে পড়া নজিরবিহীন। আন্দোলনে নামেন রাজ্যের বিভিন্ন কলেজের জুনিয়ার ডাক্তাররা। টানা আন্দোলনে সরে যেতে হয় কলকাতার পুলিশ কমিশনার সহ অন্য পুলিশকর্তা ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। এই ঘটনার সঙ্গে সামনে চলে আসে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে থ্রেট কালচারের অভিযোগ।