প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে রাজনৈতিক তরজা


 বেলাইনে চলল স্যালাইন। চিরঘুমে প্রসূতি। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন ঘিরে বিপত্তি। ‘বিষাক্ত’ স্যালাইনের জেরে গতকাল মৃত্যু হয়েছে এক প্রসূতির। অসুস্থ আরও চার।


এবার সেই ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন-কাণ্ড ঘিরে প্রতিবাদে বাম-কংগ্রেস। এদিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে দফায় দফায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চালাল বামেদের ছাত্র শিবির এসএফআই। বিক্ষোভে সঙ্গ দিয়েছে ডিওয়াইএফআইও।


বৃহস্পতিবার থেকেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাতৃমার অধীনে চিকিৎসায় অব্যবস্থায় 5 প্রসূতি অসুস্থ হওয়া নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তড়িঘড়ি সেই প্রসূতিদের আইসিইউ এবং সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয় । রাতারাতি কমিটি গঠন করেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ৷ ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তাঁরা । কিন্তু, রাত ফুরোতেই সেই প্রসূতিদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় ৷ ফলে, ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে ।



বিজেপি জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, "পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাটাই দাঁড়িয়ে আছে দুর্নীতি এবং কাটমানির উপর । সেটা না হলে কী করে এই প্রসূতি মহিলাদের এক্সপায়ার স্যালাইন এবং ফাঙ্গাস ভর্তি স্যালাইন দেওয়া হয় ? তৃণমূলের কোনও দালাল ব্যাকডেটেড এই স্যালাইন কিনে বিক্রি করেছে হাসপাতালে । সেকারণেই এই দুর্দশা ৷"অন্যদিকে, এই নিয়ে সিপিআইএম শহর পূর্ব এরিয়া কমিটির সম্পাদক কুন্দন গোপ বলেন, "এক্সপায়ারি স্যালাইন নয় বরং এই সরকারটারই মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় চলে এসেছে । 


গত 14 বছর ধরে কোনও এসএসসি হয়নি, চাকরি-বাকরি নেই, গ্রামের ছেলে-মেয়েরা বাইরে কাজ করতে চলে যাচ্ছে । এরা চায় গোটা ব্যবস্থাটাকেই দুর্বৃত্তদের হাতে তুলে দিতে ।"অবশ্য়, ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শংকর সড়ঙ্গীর দাবি, "মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হাতে নেই ৷ সুতরাং, এই ঘটনায় কোনও মন্তব্য করার এক্তিয়ার নেই ৷ তবে যা ঘটছে, তা খুবই দুঃখজনক । এই বিষয়ে যেখানে জানানোর অবশ্যই আমি জানাবো ।" এদিকে, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে হাসপাতাল চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী । ঘটনাস্থলে রয়েছেন কোতোয়ালি থানার আইসি-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা ।




Previous Post Next Post

نموذج الاتصال