মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রসূতি ও শিশু মৃত্যুর ঘটনায় বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। ১২ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, দুটি তদন্ত রিপোর্টে এদের গাফিলতির থাকার কথা পাওয়া গিয়েছে। যে ১২ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে তিনজন সিনিয়র ডাক্তার।
এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁরা হলেন-মাতৃমা বিভাগে ইউনিট ১সি-র বেড ইনচার্জ দিলীপ পাল, সিনিয়র চিকিৎসক হিমাদ্রি নায়েক, আরএমও সৌমেন দাস, অ্যানাস্থেশিস্ট পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়, পিজিটি প্রথম বর্ষের চিকিৎসক মৌমিতা মণ্ডল, পূজা সাহা, ইন্টার্ন চিকিৎসক সুশান্ত মণ্ডল, পিজিটি তৃতীয় বর্ষের চিকিৎসক জাগৃতি ঘোষ, ভাগ্যশ্রী কুন্ডু, পিজিটি প্রথম বর্ষের অ্যানাস্থেশিস্ট মণীশ কুমার, বিভাগীয় প্রধান মহম্মদ আলাউদ্দিন, হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত রাউত।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে এই ১২ জনকে নিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত জানান। জুনিয়র ডাক্তারদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারেরা। আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেন তাঁরা।
প্রিন্সিপালকে ই-মেল করে কর্মবিরতির কথা জানিয়ে দিয়েছেন জুনিয়ার ডাক্তারেরা। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার আরজি কর হাসপাতালে ‘ওয়েস্টবেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-এর তরফেও সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। আজ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে যাবেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল। যাবেন সিনিয়র চিকিৎসকরাও।