অবশেষে দীর্ঘ ১৫ মাস পর গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি ,১৯ জানুয়ারি থেকে পরিচালিত হবে


 অবশেষে দীর্ঘ ১৫ মাস পর গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইজরায়েল ও হামাস। সেই সঙ্গে এবার মুক্তি পাবেন হামাসের হাতে বন্দি ইজরায়েলের নাগরিকরাও। পাশাপাশি শর্ত হিসেবে ইজরায়েলে জেলবন্দি প্যালেস্তিনীয়দেরও মুক্তি দিতে হবে নেতানিয়াহু সরকারকে। ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধ বিরতি চুক্তি স্থাপন হবে।



বুধবার গাজায় ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ অবসানের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক চুক্তিতে পৌঁছেছেন আলোচনাকারীরা। খবর রয়টার্স সূত্রে। এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, চুক্তিতে ছয় সপ্তাহের প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি পর্যায়ের রূপরেখা রয়েছে এবং এতে গাজা উপত্যকা থেকে ধীরে ধীরে ইজরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং ইজরায়েলের হাতে আটক প্য়ালেস্তানীয় বন্দীদের বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক অন্যান্যদের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।



প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের সবাই নারী, শিশু ও ৫০ বছরের বেশি বয়সি পুরুষ। দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নের আলোচনা প্রথম ধাপের ১৬তম দিনে শুরু হবে এবং এতে অবশিষ্ট সকল ইজরায়েলির মুক্তি, একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইজরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তৃতীয় ধাপে বাকি সব মৃতদেহ ফিরিয়ে আনা এবং মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গাজার পুনর্গঠন শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে বন্দিদের জন্য আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি। তারা শিগগিরই মুক্তি পাবেন। ধন্যবাদ। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর হোয়াইট হাউজে দেয়া ভাষণে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, শিগগিরই জিম্মিরা তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাবে।



প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় হামাস। যাতে মৃত্যু হয় এক হাজারেরও বেশি ইজরায়েলি সেনা ও নাগরিকদের। এমনকি পণবন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয় অনেককে। এরপরই হামাসকে নির্মূল করতে গাজায় পালটা হামলা চালানো শুরু করে ইজরায়েল। এখনও পর্যন্ত এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৪৬ হাজার জন। ঘরছাড়া হয়েছে লক্ষাধিক।




Previous Post Next Post

نموذج الاتصال