কোনও সেমিস্টার প্রথা চালু করা যাবে না ! শিক্ষামন্ত্রীকে ভর্ৎসনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের


 প্রাথমিক স্কুলে সেমিস্টার সিস্টেম চালু হচ্ছে, অথত জানেনই না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদপত্রে পড়ে, সে কথা জানতে পেরেছেন তিনি। তাঁকে না জানিয়েই কেন শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন পলিসি চালু করা হল, তা নিয়ে সরাসরি শিক্ষামন্ত্রীকে ভর্ৎসনা করলেন মমতা। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে বসে ব্রাত্য বসুকে কড়া বার্তা দিলেন তিনি। সেই সঙ্গে স্পষ্ট করে দিলেন, কোনও সেমিস্টার প্রথা চালু করা যাবে না।


সপ্তাহখানেক আগেই প্রাথমিক স্তরে পরীক্ষা পদ্ধতি বদলের ঘোষণা করেছিল পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছিল, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বছরে দু'টি করে সেমিস্টার হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করার কথা জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ আগে জানিয়েছিল, আগে বছরে একবার পরীক্ষা হতো। তবে এবার বছরে দু'বার করে পরীক্ষা হবে। দুটি সেমিস্টারের প্রথমটি হবে ৪০ নম্বরের, পরেরটি হবে ৬০ নম্বরের।


এদিন মমতা ব্রাত্যকে বলেন, “কাগজে দেখলাম, প্রাথমিক স্তরে সেমিস্টার চালু হচ্ছে। আমি জানতাম না। মুখ্য সচিবও জানতেন না। পলিসি তৈরি করার আগে কেন জানানো হল না?”

সেই সঙ্গে প্রাথমিকে সেমিস্টার পদ্ধতি হবে না বলে এদিন ঘোষণা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিন বলেছেন, "আমি চাই ছাত্র-ছাত্রীদের ভার কমাতে। সেখানে কিনা সেমিস্টার? ওই টুকু-টুকু ছেলে মেয়েরা টুইংকেল টুইংকেল লিটল স্টার শিখছে। তাদের বলা হচ্ছে সেমিস্টার করতে? কোনও সেমিস্টার হবে না।”

এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান গৌতম পাল সাংবাদিক বৈঠক করে সেমেস্টার সিস্টেমের কথা ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী জানতেন না। মুখ্যসচিব জানতেন না। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরও দাবি, তিনি সেমেস্টারের বিষয় সংবাদমাধ্যমের সাহায্যেই জানতে পারেন। সেক্ষেত্রে কীভাবে কোনও রাজ্যের শিক্ষানীতি বদলের ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ করল, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসেছে। কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেদিকে তাকিয়ে সকলে।




Previous Post Next Post

نموذج الاتصال