মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে ত্রিবেনী সঙ্গমে জড়ো হন কমপক্ষে ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি মানুষ। প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিভিন্ন ঘাটে তারা জড়ো হন। গতকাল মধ্যরাতে স্নানের সময় কোনও কারণে তাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কয়েকটি ব্যরিকেড ভেঙে যায়। তার পরেই ছোটছুটি শুরু হয়ে যায় পুণ্যার্থীদের মধ্যে। তাতেই আহত হন বহু মানুষ। এর মধ্যেই খবর মিলেছে, কলকাতার এক বাসিন্দা মারা গেছেন কুম্ভের পদপিষ্টের ঘটনায়। পুরসভার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়েছে কুম্ভে গিয়ে।
ছেলে, মেয়ে ও নিজের বোনের সঙ্গে বাসন্তী পোদ্দার নামের বিজয়গড় লাগোয়া অশ্বিনীনগরের বাসিন্দা ওই মহিলা গেছিলেন পুণ্যস্নানে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আচমকা হুড়োহুড়ি শুরু হলে বাসন্তী দেবী কোনওভাবে পড়ে যান। তখনই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে এবং তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতার ছেলের অভিযোগ, এত ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য যে পরিমাণ পুলিশ দরকার তা ছিল না ঘটনাস্থলে। নিরাপত্তায় গাফিলতির জন্যই তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
মেদিনীপুরের এক প্রৌঢ়ারও মহাকুম্ভে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। খড়গপুর থেকে দুই মেয়ে-জামাই, বউমা এবং এক নাতনিকে নিয়ে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন প্রয়াগরাজে। তবে ত্রিবেণী সঙ্গমের সামনে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির বাসিন্দা বছর ৭৮-এর উর্মিলা ভুঁইয়া।
টানা ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ঘাট তৈরি করা হয়েছে স্নানের জন্য। মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে গতকাল মেলায় গিয়েছিলেন প্রায় এক কোটি মানুষ। গতকাল রাত দুটো নাগাদ ঘাটের ব্যারিকেড ভেঙে যায়। তার পরেই শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি। তাতেই পদপিষ্ট হন বহু মানুষ। আহতদের মধ্য়ে রয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন মহিলা।