কলকাতায় হেলে পড়া সেই বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করল কলকাতা পুরসভা। বিকালের পর থেকেই ক্রেন এনে তা ভাঙার কাজ শুরু হয়। আর তার জন্য আশেপাশের একাধিক বাড়ি ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যাসাগর কলোনিতে মঙ্গলবার একটি বহুতল পুরোপুরি পাশের বাড়ির দিকে হেলে যায়। চারতলা ওই ফ্ল্যাটের নীচের অংশ ভেঙেও যায়।
যে এলাকায় এই বহুতল বিপর্যয় ঘটেছে, একেবারে ঘিঞ্জি এলাকা। ফলে ক্রেন ঢুকতে সমস্যা হচ্ছিল। সূত্রের খবর, আড়াইটে নাগাদ এই ঘটনা ঘটলেও ক্রেন ঢুকতে প্রায় সন্ধ্যা ৬টা বেজে যায়। যে হেতু একেবারে গায়ে গায়ে সব বাড়ি, তাই প্রায় ৪-৫টি বাড়ি ফাঁকা করে তার পর ভাঙার কাজ শুরু করতে হয়।
যাদবপুরের বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ দেবব্রত মজুমদারের কথায়, ‘প্রোমোটারকে পুলিশ খুঁজছে। বাড়িওয়ালাকে কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে।’ অন্যদিকে তৃণমূলের স্থানীয় কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই বাড়ি যখন তৈরি হয়েছিল, তিনি তখন ৯৭ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। আরএসপির দেবাশিস মুখোপাধ্যায় কাউন্সিলর ছিলেন এই ওয়ার্ডে। তাই উনিই সবটা বলতে পারবেন। যদিও পাল্টা প্রাক্তন কাউন্সিলরের দাবি, এই ফ্ল্যাট বাম আমলে নয়, এই সরকারের আমলেই।
পশ্চিমবঙ্গে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনা এখন ‘সাধারণ’ হয়ে গিয়েছে। বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই মন্তব্য করল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। ভর্ৎসনা করা হয়েছে পুরসভা এবং পঞ্চায়েতকে। আদালত জানিয়েছে, সব স্তরের নির্মাণে প্রশাসনের নজরদারির অভাব রয়েছে। সেই কারণেই আকছার বহুতল ভেঙে পড়ার মতো ঘটনা ঘটছে। বাঘাযতীনে মঙ্গলবার চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি ভেঙে পড়া নিয়ে চর্চার মাঝে আদালতের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে। তবে আদালত নির্দিষ্ট বাঘাযতীনকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেনি।