এবার জাল নথিতে পাসপোর্ট তৈরি চক্রে আরও দুজনের খোঁজ মিলল। হুগলির সিঙ্গুর থেকে বর্ধমান থানার পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে। বাংলাদেশ ইস্যুতে রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি চলছে। জঙ্গি, অনুপ্রবেশকারীদের সীমান্ত পেরিয়ে আসার আশঙ্কাও বাড়ছে। ইতিমধ্যেই একাধিক জঙ্গি, অনুপ্রবেশকারী পুলিশের হাতে ধরাও পড়েছে। তার মধ্যে জাল পাসপোর্টচক্রের হদিশও সামনে এসেছে। কলকাতা থেকে বারাসত হয়ে একাধিক জায়গায় জাল পাসপোর্টের চক্রের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
সিঙ্গুর থেকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন দুই যুবক। অভিযোগ, পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় শংসাপত্রের নকল নথি তৈরি করেছিলেন দু’জন। সূত্রের খবর, শুক্রবার গভীর রাতে হুগলির সিঙ্গুরের গান্ডারপুকুর এলাকা থেকে অনির্বাণ সামন্ত এবং সিঙ্গুরের নান্দা থেকে গণেশ চক্রবর্তী নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
যদিও ধৃতদের পরিবারের দাবি, তাদের ছেলে কোনও অসাধু চক্রের সঙ্গে জড়িত নন। অনির্বাণের মা-সহ প্রতিবেশীদের দাবি, এলাকায় ওই যুবকের সুনাম আছে। তিনি গৃহশিক্ষকতার পাশাপাশি আলুর ব্যবসা করেন। অনেককে প্যান কার্ড তৈরি করে দিতেন। অন্য দিকে, গণেশের মায়ের দাবি, ছেলে কী করতেন তিনি সঠিক জানেন না। তাঁর কথায়, ‘‘একটি বিমা সংস্থার এজেন্টের কাছে কাজ করত জানতাম। আর কিছু জানি না। তবে ও কোনও খারাপ কাজ করতে পারে না।’’
তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, সিঙ্গুরের গণেশ চক্রবর্তী ও অনির্বাণ সামন্ত এই জাল শংসাপত্র করে দিয়েছিলেন। তারপরেই সিঙ্গুরে হানা দেয় বর্ধমান থানার পুলিশ। নথি জাল করার অভিযোগে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁদের হেপাজতে নিয়ে এই চক্রে আর কেউ জড়িত কিনা জানার চেষ্টা চলছে।
পূর্ব বর্ধমানে পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রে অভিযুক্ত স্বরূপ রায়ের কাছ থেকে সিঙ্গুরের দুই যুবকের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। কী ভাবে সিঙ্গুরের দুই যুবক যুক্ত, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ভুয়ো পাসপোর্ট-চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে লালবাজারের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটের হাতে বেশ কয়েক জন গ্রেফতার হয়েছেন। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের কাজিপাড়ার বাসিন্দা সমরেশ বিশ্বাস এবং তাঁর ছেলে রিপন বিশ্বাস। তার পর ওই জেলারই বাসিন্দা ডাকঘরের দুই কর্মী, তারকনাথ দাস এবং দীপক মণ্ডল গ্রেফতার হন।