অতি সম্প্রতি বহুজাতিক সংস্থা লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো (এলঅ্যান্ডটি)-র চেয়ারম্যান এস এন সুব্রহ্মণ্যন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমার আফশোস, আমি কর্মীদের দিয়ে রবিবার কাজ করাতে পারি না। যদিও তা করাতে পারি আমার চেয়ে খুশি কেউ হবে না। কারণ আমি নিজেও রবিবার কাজ করি।‘ তিনি আরও বলেন, ‘বাড়িতে বসে থেকে কী করবেন? কতক্ষণ স্ত্রীয়ের মুখের দিকে চেয়ে বসে থাকবেন? অফিসে আসুন কাজ শুরু করে দিন।‘ এমনকি তিনি পরামর্শ দেন সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করার জন্য।
ব্যাস। তার এই মন্তব্যের পরেই মুহূর্তে ফিরে আসে নারায়ণমূর্তির প্রসঙ্গও। তিনিও কর্মীদের সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের কথা বলেছিলেন। পরপর দুই সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের মুখে সপ্তাহে আরও বেশি সময় ধরে কাজ নিয়ে জোর চর্চা হয়েছে প্রায় সব মহলেই। এই পরিস্থিতিতে, সমীক্ষা, কোন দেশে কতক্ষণ কাজ করেন কর্মীরা।
স্বনামধন্য সংস্থার কর্তাদের মুখে কাজের সময় নিয়ে এমন উক্তি শুনে স্তম্ভিত কর্মীরা। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এই সব সংস্থায় কাজ করলে ব্যক্তিগত সময় বলে কিছুই থাকবে না? আদৌ কি এত ঘণ্টা কাজ করা সম্ভব? ভারতীয় আইন কিন্তু বেঁধে দিয়েছে, ঠিক কতক্ষণ অফিসে কাজ করবেন একজন কর্মী।
ভারতীয় ‘ফ্যাক্টরি আইনে’ বলা হয়েছে যে ভারতের কারখানা এবং উৎপাদন ইউনিটগুলিতে, দিনে সর্বোচ্চ ৮ থেকে ৯ ঘন্টা কাজ করানো যায় কর্মীদের। সপ্তাহে মোট কাজের সময় ৪৮ ঘণ্টার বেশি হওয়া উচিত নয়। অর্থাৎ ছ’য় দিনে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘন্টা কাজ করার নিয়ম রয়েছে।