বিনোদিনীর প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দেওয়া, স্বপ্ন পূরণ করা বা তাঁর গল্পকে বড় পর্দায় আনা নয়। গত পাঁচ বছর ধরে চরিত্রটিকে রীতিমত নিজের অন্দরে যে লালন করেছেন, চরিত্রটাকে যাপন করছেন সেটাই যেন বুঝিয়ে দিলেন রুক্মিণী মৈত্র। হয়তো দীর্ঘদিন কোনও চরিত্রকে নিজের সঙ্গে বয়ে নিয়ে চললে এমনটা হয়, কী জানি! যাক গে, এবার আসা যাক বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান কেমন লাগল সেই বিষয়ে।
বিনোদিনী চেয়েছিলেন বড় সামান্য! গিরিশ ঘোষের সারাজীবনের স্বপ্নকে সফল করতে ধনাঢ্য বণিক গুরমুখ রায়ের কাছে নিজেকে বিকিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে চেয়েছিলেন সে মঞ্চের নাম হোক তাঁর নামে। সেদিন গিরিশ ঘোষরা যা পারেননি, বঙ্গ রঙ্গমঞ্চের সম্রাজ্ঞীর সেই সাধ দেড়শো বছর পর পূর্ণ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্টার থিয়েটারের নামকরণ হয়েছে নটি বিনোদিনীর নামে।
এদিন নবনামাঙ্কিত বিনোদিনী থিয়েটারে ছিল রামকমল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত বহুচর্চিত ‘বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান’ ফিল্মের প্রিমিয়ার শো। সেই উপলক্ষে থিয়েটার ভবনে বাংলা রূপালি জগতের তারকাছটায়, ঢোল-কাঁসির বোল, হাসি ও করতালির শব্দব্রহ্মে ম্রিয়মাণ শোনাল গোটা মহানগরীকে।
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ছবিটি অবশেষে মুক্তি পেতে চলেছে। সেই উপলক্ষে এদিন প্রিমিয়ারে দেব, রুক্মিণী মৈত্র এবং রাম কমল মুখোপাধ্যায় একসঙ্গে কেক কেটে সেটার উদযাপন করেন। শুধুই কি তাই এদিন প্রিমিয়ারের শেষে এমন একটা ঘটনা ঘটায় আবেগে কেঁদে ফেলেন রুক্মিণী মৈত্র।