সনাতন ধর্মে কুম্ভ মেলার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এই ধর্মীয় সমারোহে যোগদান করতে দূরদূরান্ত থেকে হাজির হন ভক্তরা। কথিত আছে যে এই সময়ে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে রাজকীয় (শাহি স্নান) স্নান করলে অনেক পুণ্য লাভ হয়। কুম্ভমেলা প্রতি তিন বছরে অনুষ্ঠিত হয় আর মহা কুম্ভের শুভ অনুষ্ঠান ১৪৪ বছরে একবারই ঘটে। ২০২৫ সালে এই শুভ সংযোগ ঘটতে চলেছে তাই এই কুম্ভ মেলা নিয়ে মেতে উঠেছেন সবাই। শুধু দেশের মানুষই নন এই অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করতে উপস্থিত থাকবেন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বহু সংখ্যক ভক্ত ও পর্যটকরা।
মহাকুম্ভ মেলা শুরু হতে চলেছে। ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু প্রায় এক মাসের এই মেলা। দেশ-বিদেশের লাখো লাখো পূণ্যার্থী থাকবেন কুম্ভমেলায়। তেমনই সাধু-সন্ন্যাসীরাও। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাগম। এ বারের কুম্ভমেলায় বিশেষ আকর্ষণও থাকছে। বিলাসবহুল থাকার ব্যবস্থা। যাঁরা বিলাসবহুল জীবন যাপনে অভ্যস্ত পূণ্য অর্জনের জন্য জমায়েতে তাঁদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে ডোম সিটি।
১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে মেলা। গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে ডুব দেবেন লক্ষাধিক পুণ্যার্থী। উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, এ বছর প্রায় ৪০ কোটি পুণ্যার্থী আসতে পারেন মহাকুম্ভে। প্রতি ১২ বছর অন্তর এই মেলা আয়োজিত হয়। আগামী ১৪ জানুয়ারি পৌষ সংক্রান্তির দিনে শুভলগ্নে কুম্ভের জলে ডুব দেবেন পুণ্যার্থীরা। এই মেলা আয়োজন করতে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা খরচ করছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
প্রয়াগরাজ জুড়ে ২৩০০ সিসিটিভি ক্যামেরায় বসানো হয়েছে। মেলা চত্বরে প্রায় দেড় লক্ষ শৌচাগার। ৯৯টি অস্থায়ী পার্কিং জোন তৈরি করা হয়েছে। মহাকুম্ভে যেতে হলে সঙ্গে রাখতে হবে সচিত্র পরিচয়পত্র, হোটেল বা লজ বুকিংয়ের তথ্য, অন্যান্য জরুরি কাগজপত্র। এ ছাড়াও ফার্স্ট এইড কিট, মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার।