তিব্বতের ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ৯৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ১৩০ জনকে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি। ভূমিকম্পের ধাক্কা কাটিয়ে শুরু হয়েছে উদ্ধারের চেষ্টা। মৃত এবং আহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে ৭.১ তীব্রতার জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তিব্বত। যার প্রভাব পড়ে নেপাল, ভুটান এবং ভারতেও। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শিগাতসের এই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত আট লক্ষ মানুষ। ভূমিকম্পের উৎসস্থল তিব্বতের তিংরি প্রদেশে। এই অঞ্চলটিকে এভারেস্টের উত্তরের প্রবেশদ্বার হিসাবে দেখা হয়।
তিব্বতের ভূমিকম্পের প্রভাব আছড়ে পড়ে নেপাল, ভুটান এবং ভারতেও। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল তিব্বতের তিংরি প্রদেশ। একাধিক সংবাদমাধ্যম মারফত খবর, ভূমিকম্পের পর প্রায় ৪০ বার আফটার শক হয় ওই অঞ্চলে। জোরালো কম্পনের জেরে বাড়ি, দোকান, রাস্তাঘাট ভেঙে পড়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এলাকায়। ভূমিকম্পের বেশ কিছু ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ভূমিকম্প অনুভূত হতেই আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্থানীয়রা ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় চলে আসেন।
কাঠমাণ্ডুর বাসিন্দা মীরা অধিকারী সংবাদসংস্থা এএনআই-কে জানান, 'আমি ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ বিছানাটা কাঁপতে শুরু করল। প্রথমে ভেবেছিলাম আমার ছেলে বিছানায় নড়াচড়া করছে। তাই অতটা খেয়াল করিনি। কিন্তু পরে যখন দেখলাম জানলাও থরথর করে কাঁপছে, তখনই বুঝতে পারলাম যে ভূমিকম্প হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে খোলা জায়গায় চলে আসি।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত ও ইউরেশিয়া প্লেটের সরে আসার ফলেই এই ভূমিকম্প। উল্লেখ্য, এই দুই টেকটনিক প্লেটের কাছে সরে এসে সংঘর্ষের ফলেই বহু বছর ধরে হিমালয় পর্বতমালা গঠিত হয়েছে। ফলে এই জায়গাটি ভীষণ ভূমিকম্পপ্রবণ।