আজ লাগাতার অষ্টমবারের মতো বাজেট পেশ করছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এর আগেই গতকাল ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে দেশের মধ্যবিত্তের আশা বাড়িয়ে তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বারই প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে চলেছে তার সরকার। ফলে ২০২৫-’২৬ আর্থিক বছরের ব্যয় বরাদ্দকে কেন্দ্র করে আমজনতা থেকে শুরু করে শিল্প সংস্থার মধ্যে চড়েছে প্রত্যাশার পারদ।
আজ সকাল ১১টা নাগাদ সংসদে বাজেট বক্তৃতা শুরু করবেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী নির্মলা। তার আগে প্রথামাফিক রাষ্ট্রপতির কাছে যাবেন তিনি। সেখানে বাজেট পেশের অনুমতি নেওয়ার পর সংসদের দিকে রওনা হবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। গত বছর তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। তার পর থেকে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সংসদে বাজেট পেশ করবেন নির্মলা। এর আগে ছ’বার পূর্ণাঙ্গ ও দু’বার অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করেছেন তিনি।
শুক্রবার বাজেট অধিবেশনের সূচনায় প্রথামাফিক সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। প্রায় ৫৯ মিনিট বক্তৃতা করেন তিনি। অধিবেশন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে সনিয়া গান্ধী বলেছিলেন, ‘‘ওঁকে খুব ক্লান্ত মনে হচ্ছিল। ভাল করে কথাও বলতে পারছিলেন না।’’ সনিয়ার মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সনিয়ার কটাক্ষের জবাবও দিয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। আজ এই বিতর্ক নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতরের দিকে নজর থাকবে।
মনে করা হচ্ছে, বাজেটে নতুন কর কাঠামোয় ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়কে করমুক্ত ঘোষণা করা হতে পারে। নতুন কর কাঠামোয় ১৫-২০ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ে করের হার ৩০ শতাংশের বদলে ২৫ শতাংশ করা হতে পারে বলে আশা। মুদ্রাস্ফীতির বোঝা কমাতে বাজেটে আবগারি শুল্ক কমানো হতে পারে। যার ফলে কমতে পারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম।
বাজেটে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধিতে টাকার অঙ্ক বাড়ানো হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বছরে ৬ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এখন দেখার, বাজেটে কী ঘোষণা করা হয়।