যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কান্ডে আহত ছাত্র ইন্দ্রানুজের বাঁ চোখের পাশে গভীর চোট লেগেছে এবং সেখানে ১৪টি সেলাই পড়েছে


 যাদবপুর কাণ্ডের পর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। রবিবার ফের গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। জানালেন, গোটা ঘটনায় তাঁর গাড়ির চালক ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। আহত ছাত্রের জন্য দুঃখ প্রকাশও করেন তিনি। যদিও যেভাবে অধ্যাপকদের উপর অত্যাচার হয়েছে, সেটাও কাম্য নয় বলেই মন্তব্য ব্রাত্য বসুর।


শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সংঘর্ষ চলাকালীন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ইন্দ্রানুজ রায় ধাতব ড্রাইভওয়েতে পড়ে যান। অভিযোগ উঠেছে, মন্ত্রীর গাড়ি তার মাথার উপর দিয়ে চলে যায়, যার ফলে তিনি গুরুতর আহত হন।


কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের মতে, ইন্দ্রানুজের বাঁ চোখের পাশে গভীর চোট লেগেছে এবং সেখানে ১৪টি সেলাই দিতে হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আঘাতটি চোখের বলের উপর না পড়লেও তা যথেষ্ট যন্ত্রণাদায়ক এবং গুরুতর। তার রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক থাকলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইন্দ্রানুজের চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল গঠন করেছে, যেখানে রয়েছেন একজন ক্রিটিকাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ, একজন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ, একজন অর্থোপেডিক এবং একজন সাধারণ চিকিৎসক।


সংঘর্ষের পর প্রায় ২০ জন পড়ুয়া চিকিৎসার জন্য কেপিসি মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র দু’জনকে ভর্তি করা হয়। এদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এই ঘটনায় ছাত্র ও রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ইন্দ্রানুজের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলেও, তাঁর আহত হওয়া এবং পুলিশের মামলা দায়েরের বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। 


Previous Post Next Post

نموذج الاتصال