স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেক্স , গত সাত মাস ধরে মধ্য প্রাচ্যে যুদ্ধ অব্যাহত। ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরাইল। এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরাইল। এখনও পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আবার হামলা চালিয়েছে ইজরাইল।ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইজরাইলের আলাদা দুটি হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন।
এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবামাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বোমা হামলায় এক গর্ভবতী নারী ও তার অনাগত সন্তানসহ ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গাজা সিটিতে আলাদা হামলায় নারী ও শিশুসহ আরও ৮ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি বার্ত সংস্থা ওয়াফা বলেছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আল-জাওয়াইদা এলাকায় বাস্তুচ্যুত লোকদের ভিড়ে বোমা হামলা চালায় ইসরাইল।
অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। কারণ, উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। এই হামলার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) আরও জোরালো হয়েছে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার দাবি। আনাদোলু বলছে, গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
একজন চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে সংস্থাটি বলেছে, শহরের দারাজ এলাকায় ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে, যার বয়স এখনও এক বছর পূর্ণ হয়নি। অন্যদিকে শহরের তুফাহ পাড়ায় আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই নারী ও এক শিশুসহ আরও চারজন নিহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ জন নিহত এবং আরও ২০০ জন আহত হয়েছেন।