স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেক্স, আগামীকাল অর্থাৎ ১ জুন লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফার ভোট। আর ভোট পর্বের শেষ দিনে বাংলায় একগুচ্ছ হেভিওয়েট প্রার্থীরা তালিকায় রয়েছে। শনিবার রাজ্যের ৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। এদিন কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, দমদম, বারাসত, ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুর, বসিরহাট, জয়নগর ও যাদবপুরে ভোট হবে।
বেশ কয়েকটি আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক হেভিওয়েটদের ।
১) দমদমের সাংসদ সৌগত রায় টিকিট পেয়েছেন তৃণমূল থেকে। বিজেপির টিকিটে দমদম থেকে প্রার্থী হয়েছেন শীলভদ্র দত্ত। আর সিপিএমের হয়ে লড়ছেন সুজন চক্রবর্তী।
২) বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ডা. কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁর প্রতিপক্ষ বিজেপির স্বপন মজুমদার এবং বামেদের প্রার্থী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় (AIFB)।
৩) লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার প্রায় মাস দুয়েক আগে থেকেই শিরোনামে সন্দেশখালি। উত্তর ২৪ পরগনার এই জনপদ বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হাজি নরুল ইসলাম। বিজেপির টিকিটে লড়ছেন রেখা পাত্র। সিপিএম প্রার্থী নিরাপদ সর্দার।
৪) ডায়মন্ডহারবারে হাইভোল্টেজ এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিপক্ষ সিপিএমের প্রতীক উর রহমান এবং বিজেপির অভিজিৎ দাস।
৫) যাদবপুরে তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। ওই কেন্দ্রে বামেদের প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। বিজেপির টিকিটে লড়ছেন ডা. অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়।
শেষ দফার ভোটে ওয়েবকাস্টিংয়ের মাধ্যমে নজরদারি আরও জোরদার করেছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, বুথে ওয়েবকাস্টিংয়ের ক্যামেরা বন্ধ থাকলে ভোটগ্রহণও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ভোটগ্রহণের সময় ক্যামেরা সচল রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে প্রিসাইডিং অফিসারকে। কোনও কারণে ওয়েবকাস্টিং বন্ধ হলে জবাব দিতে হবে প্রিসাইডিং অফিসারকেই। কমিশন সূত্রে খবর, গাফিলতি নজরে আসলে সরিয়ে দেওয়া হবে প্রিসাইডিং অফিসারকে। বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশও দেওয়াও হতে পারে।
শেষ দফা নির্বাচনে কলকাতা শহরের রাস্তায় নামছে ১৩ হাজার কলকাতা পুলিশ। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পুলিশের পাশাপাশি থাকছে ২৪৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কাল শান্তিপূর্ণ ভোট হয় কিনা তাই দেখার।