স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেক্স, প্রত্যেক নির্বাচনের সময় এক একটা প্রধান গ্রামের ইস্যু। কখনো ভাঙ্গর ! কখনো নন্দীগ্রাম ! এবারের ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার রাজনীতির অন্যতম গ্রাম্য ইস্যু সন্দেশখালি। ইডির উপর হামলা, তৃণমূল নেতা গ্রেফতার থেকে শুরু করে দফায় দফায় বিক্ষোভ, অশান্তি— প্রথম থেকেই শিরোনামে থেকেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার এই জনপদ।
শনিবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালির দক্ষিণ খুলনা অঞ্চল। সেখানে ১৭৭ নম্বর বুথের পঞ্চায়েত সদস্য মণিকা মণ্ডলের স্বামী তথা এলাকার তৃণমূলকর্মী রামকৃষ্ণ মণ্ডলকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর মাথা ফেটে গিয়েছে। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। আক্রান্ত জানিয়েছেন, তিনি ভোট দিতে গেলে তাঁকে ঘিরে ধরেন বিজেপি কর্মীরা। তার পর মারধর করা হয়। তাতে তাঁর মাথা ফেটে যায়।
বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, ‘‘রামকৃষ্ণ মণ্ডল দলবল নিয়ে বুথ দখল করতে গিয়েছিলেন। তাই গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঁর উপরে চড়াও হন। হাতাহাতিতে তিনি জখম হন। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।’’
এ ছাড়া শুক্রবার রাতে সন্দেশখালির বেড়মজুর এলাকায় পুলিশ ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ। স্থানীয়েরা জানান, এলাকার পুরুষদের ধরতে এসেছিল পুলিশ। কয়েক জনকে আটকও করা হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়, ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় কিছু না কিছু অভিযোগ রয়েছে। তাই ভোটের আগে তাঁদের আটক করা হচ্ছে। কিন্তু গ্রামবাসীরা এতে ক্ষুব্ধ হন এবং পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরে পুলিশ আটক ব্যক্তিদের ছেড়ে দেয়।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা, শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি তথ্য প্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালভিয়া সন্দেশখালিতে প্রতিবাদী মহিলাদের ভিডিও শেয়ার করেছেন। মালভিয়া বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে, সন্দেশখালির ভোটারদের ভয় দেখানোর জন্য ‘মধ্যরাতের অভিযান’ চালায়।