স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেক্স, তৃতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার মাত্র চার দিন পর, জি৭-এর আমন্ত্রণমূলক সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার ইতালি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গেও তাঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক রয়েছে। জি৭-এর সদস্যরা হল – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইটালি, জার্মানি, কানাডা এবং জাপান। জি ৭ সম্মেলনে ভারতের নিয়মিত অংশগ্রহণ স্পষ্টতই বোঝায় যে শান্তি, নিরাপত্তা, উন্নয়ন এবং পরিবেশ সংরক্ষণ সহ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলি সমাধান করার জন্য ভারত ক্রমাগত চেষ্টা করে চলেছে ।
মোদি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সাথে দেখা করবেন, পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বুধবার একটি ব্রিফিংয়ে ঘোষণা করেছিলেন, তবে তিনি কোন নির্দিষ্ট প্রশ্নে অন্য নেতাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন সে বিষয়ে মন্তব্য করেননি। মোদি শুক্রবার জি ৭ আমন্ত্রিত ১২ টি দেশের নেতাদের মধ্যে থাকবেন, যার মধ্যে রয়েছে আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, মিশর, কেনিয়া, মৌরিতানিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তিউনিসিয়া, তুর্কিয়ে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত.. সকলের দৃষ্টি থাকবে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে একটি সম্ভাব্য বৈঠকের দিকে যিনি উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার দর কষাকষির ক্ষেত্রে ভারতই একমাত্র বড় দেশ হিসেবে ভূমিকা নিতেপারে। তবে জি-৭ বৈঠকে অবশ্য মোদীর এই বিষয়ে অবশ্য সরব হওয়ার সুযোগ নেই তেমন। মোদীর ভাষণে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় রাজনীতি, আফ্রিকা, পরিবেশের মতো বিষয়গুলি উঠে আসতে পারে। এবার জি-৭ সম্মেলনে একদিকে পশ্চিমিদের মধ্য়ে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব ও অন্য দিকে চিন-রাশিয়া জোটের ক্রমবর্ধমান উত্থান এই দুইটি বিষয় তুলে ধরা হবে। এবারের জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, শক্তি, আফ্রিকা এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল। এই বিষয়গুলির উপর, জি৭-এর সদস্য রাষ্ট্র এবং আউটরিচ দেশগুলি তাদের মতামত এবং দৃষ্টিভঙ্গি জনাবে। শীর্ষ সম্মেলনে গাজায় ইজরায়েলের নৃশংস হামলা এবং ইউক্রেনে -রুশ আগ্রাসন নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই ১১ তম বার ভারতকে জি ৭ আউটরিচ-এ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, এবং পঞ্চমবার যে মিস্টার মোদি যোগ দেবেন৷ তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, শক্তি, আফ্রিকা এবং “ভূমধ্যসাগর” নিয়ে আলোচনার জন্য একটি বিশেষ অধিবেশনে অংশ নেবেন। মিঃ কোয়াত্রা বলেছেন যে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত এবং গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা হবে।