রত্নভাণ্ডার ভগবান জগন্নাথের ধন বা সম্পত্তি সেই কারণে রবিবার রত্ন ভাণ্ডারের দরজা খোলার আগে রীতি অনুযায়ী ভগবান জগন্নাথদেবের পুজা করা হয়।রত্নভাণ্ডারটি আসলে ভগবান জগন্নাথদেবকে দেওয়া মূল্যবান সোনা এবং হিরের গয়নার বাড়ি। ওড়িশা ম্যাগাজিন অনুসারে, অনঙ্গভীম দেব ভগবান জগন্নাথের গয়না তৈরির জন্য বিপুল পরিমাণ সোনা দান করেছিলেন।
এদিকে রত্ন ভাণ্ডারে থাকা গয়না ও অন্যান্য সম্পদের তালিকা তৈরির প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আমরা আরবিআইয়ের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। রত্ন ভাণ্ডারের সামগ্রীর তালিকা তৈরির সময় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। এর আগে ১৯৭৮ সালে যখন রত্ন ভাণ্ডারের সামগ্রীর তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, সেবার ৭০ দিন লেগেছিল সেই কাজ সম্পন্ন করতে। তবে এবার ডিজিটাল ক্যাটালগ তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
এর আগে ১৮০৫ সালে প্রথমবার সরকারি ভাবে জানা গিয়েছিল যে পুরীর রত্ন ভাণ্ডারে কী আছে। এই রত্ন ভাণ্ডার আদতে ১১.৮ মিটার উঁচু একটি মন্দির। প্রায় ২০৯ বছর আগে পুরীর তৎকালীন কলেক্টর চার্লস গ্রোম দাবি করেছিলেন রত্ন ভাণ্ডারে ময়ূরপঙ্খির আকারের মুকুট থেকে শুরু করে সুন্দর কারুকার্য করা সোনা ও রুপোর গয়না আছে প্রায় ৬৪। এছাড়াও শতাধিক মোহর থাকার কথা তিনি উল্লেখ করেছিলেন। এপর ১৯৫০ সালে শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডিনিস্ট্রেটিভ অ্যাক্ট কার্যকর করা হয়। সেই সময় রত্ন ভাণ্ডারের সোনা-দানার পরিমাণ আরও অনেক গুণ বেশি ছিল।
৪৬ বছর আগের তথ্য অনুযায়ী, পুরীতে জগন্নাথ দেবের রত্ন ভাণ্ডারে মোট ৪৫৪টি সোনার গয়না, যার ওজন আনুমানিক ১২৮৩৮ ভরি এবং২৯৩টি রুপোর গহনা রয়েছে, যার ওজন ২২১৫৩ ভরি। এরমধ্যে রত্ন ভাণ্ডারের বাইরের যে অংশ রয়েছে, তাতে রাখা আছে জগন্নাথদেবের মণি-মুক্তো জড়ানো সাজসজ্জা। ৭৯টি সোনার গহনা, ৩৯টি রুপোর গহনা আছে। সঙ্গে রয়েছে নিত্য ব্যবহারের আরও সোনাদানা। ব্রক্ষ্মজ্যোতি হিরে, বলরামের নীলা, সুভদ্রার মণিমুক্তোও রয়েছে। ভিতরের ভাণ্ডারে কী কী রয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে ৩৫০-রও বেশি সোনার গয়না ও ২৩০টিরও বেশি রুপোর গহনা আছে বলে জানা যায়।