স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেক্স, এই প্রথমবারের মতো চাঁদে একটি গুহা আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, অন্তত ১০০ মিটার গভীর এই গুহা মানুষের স্থায়ী ‘বেজ’ নির্মাণের জন্য আদর্শ জায়গা হতে পারে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, এরকম গুহা আরও বহু আছে এবং এইসব গুহা ভবিষ্যতের মহাকাশচারীদের ‘বাড়ি’ হয়ে উঠতে পারে।
ইতালিয়ান বিজ্ঞানীদের এক দল জানিয়েছে, বেশ বড়সড় গুহা থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যেখানে চাঁদের সবথেকে গভীর গর্ত হয়ে যাওয়া যায়। এই গুহা রয়েছে ‘সি অফ ট্রানকুইলিটি’-তে। এখান থেকে ৪০০ কিমি (২৫০ মাইল) দূরেই ছিল অ্যাপোলো ১১-এর ল্যান্ডিং সাইট যেখানে প্রথমবার মানুষের পা পড়েছিল।
৫৫ বছর আগে চাঁদে যাওয়া অ্যাপোলো ১১ নভোযানের অবতরণ স্থলের ৪০০ কিলোমিটার দূরে সি অব ট্রাঙ্কুয়ালিটি নামক স্থানে গুহাটির সন্ধান পাওয়া গেছে। আকারে বেশ বড় হওয়ায় মহাকাশচারীরা সহজেই সেখানে থাকতে পারবেন। চাঁদে বড় গুহার খোঁজ পাওয়ার বিষয়ে ইতালির ট্রেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী লিওনার্দো কেরার ও লরেঞ্জো ব্রুজজোন জানিয়েছেন, চাঁদের বুকে থাকা গুহার তথ্য ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে অজানা রয়ে গেছে।
আয়তন ও গভীরতা অবাক করে দিচ্ছে বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীদের৷ চাঁদের গুহাটি ৪৫ মিটার চওড়া মুখের এবং ৮০ মিটার লম্বা আয়তনে প্রায় ১৪টি টেনিস কোর্টের সমান৷ চাঁদের মাটির ১৫০ মিটার নীচ পর্যন্ত গভীর এই গুহা
আজ থেকে কয়েক কোটি বছর আগে চাঁদে লাভা উদগীরণের ফলে এই গুহা তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ চাঁদে স্থায়ী মানবসতি গড়ে তুলতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছে কয়েকটি দেশ। তবে এ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য প্রথমে নভোচারীদের রেডিয়েশন (বিকিরণ), তীব্র তাপমাত্রা ও মহাকাশের আবহাওয়া থেকে রক্ষা করতে হবে।