স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, এবার চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠন করার কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, আর জি কর কাণ্ডে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কী করে ঢুকল দুষ্কৃতীরা? আর জি কর মেডিক্যালে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুন মামলায় পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, সিবিআই এই মামলায় স্টেটাস রিপোর্ট দেবে সুপ্রিম কোর্টকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার।
আর জি কর-কাণ্ডে আজ গোটা দেশের নজর রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে হল মামলার শুনানি। তরুণী চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণের নারকীয় ঘটনায় ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। মঙ্গলবার চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার শুনানি করলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ।
মামলার শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি বলেন, জাতি আরেকটি ধর্ষণ ও হত্যার জন্য অপেক্ষা করতে পারে না।
বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চটি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডঃ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত তাও জানতে চেয়েছিল৷
ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্বে থাকবেন নৌবাহিনীর মেডিক্যাল সার্ভিসের মহাপরিচালক অ্যাডমিরাল আরতি সারিন। তার সাথে যোগ দিচ্ছেন ডাঃ ডি নাগেশ্বর রেড্ডি, একজন বিখ্যাত গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট এবং ডাঃ এম শ্রীনিবাস, দিল্লীর AIIMS এর ডিরেক্টর। টাস্ক ফোর্সে নিমহান্স ব্যাঙ্গালোরের ডাঃ প্রতিমা মূর্তি, এইমস যোধপুরের ডাঃ গোবর্ধন দত্ত পুরি এবং দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালের ডাঃ সোমিকরা রাওয়াতও অন্তর্ভুক্ত। একটি শীর্ষস্থানীয় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অনিতা সাক্সেনা, জেজে গ্রুপ অফ হসপিটালের ডাঃ পল্লবী সাপলে এবং গুরগাঁওয়ের পারস হাসপাতালের নিউরোলজির চেয়ারপারসন ডাঃ পদ্মা শ্রীবাস্তবও টাস্ক ফোর্সের সদস্য।