স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, গোটা ত্রিপুরা জুড়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি। শহরের বুকে আছড়ে পড়েছে কাটাখালের জল। এই অবস্থায় অরুণাচল প্রদেশ থেকে ত্রিপুরায় নিয়ে আসা হয়েছে প্রায় ২০০ এনডিআরএফ। সেনাবাহিনীর বিশেষ বিমানে তাঁদের জরুরি ভিত্তিতে রাজ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া হয়েছে দুটি হেলিকপ্টার। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলার মধ্যে রয়েছে গোমতী জেলা। সেখানে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে চলছে উদ্ধার কাজ। জাতীয় সড়কে ফাটল।
চার দিনে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২২ জনের। রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা ভেসে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কারণে ধস নেমে একই সঙ্গে দুই পরিবারের সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মহিলা এবং শিশুরাও। বৃষ্টি থামার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ত্রিপুরার বিস্তীর্ণ অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। আটটি জেলায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা।
বহু জায়গায় বিদ্যুৎ বন্ধ রেখেছে বিদ্যুৎ নিগম। রাজস্ব সচিব জানিয়েছেন, বন্যার কারণে রাজ্যে প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নানাভাবে। এখন পর্যন্ত রাজ্যের ৪৫০ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এই ত্রাণ শিবিরে ৬৫ হাজার ৪০০ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রাথমিক অনুমান বলছে, প্রায় ৫ হাজার কোটির মতো ক্ষতি হয়েছে ত্রিপুরায় বন্যার জেরে। তবে, সূত্রের খবর, গত কয়েক ঘণ্টায় ধীরে ধীরে পরিস্থিতি খানিকটা উন্নতির দিকে গিয়েছে। উল্লেখ্য, শুধু ১৯ অগস্ট ২৮৮.৮ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে ত্রিপুরার ৮ বন্যা বিধ্বস্ত জেলায়। যা সর্বাধিক বর্ষণ বলে মনে করা হয়। এদিকে, ত্রাণের জন্য ইতিমধ্যে ৪০ কোটি টাকার প্যাকেজ কেন্দ্রের তরফে তুলে দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরাকে।
ত্রিপুরার বন্যার পরিস্থিতি পরিদর্শনে বিভিন্ন জায়গায় সরেজমিনে পৌঁছেছেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। গোটা ত্রিপুরায় প্রায় ৫৫৮ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেরাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- স্কুল, কলেজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নোটিস না আসা পর্যন্ত এই নিয়ম জারি থাকবে বলে জানিয়েছে সরকার।