স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেক্স, বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্ধে মিশ্র প্রভাব রাজ্য জুড়ে। তবে বন্ধের প্রভাব এখনও পর্যন্ত বেশি লোকাল ট্রেন চলাচলে। কলকাতা শহরে সরকারি বাস চললেও রাস্তায় বেসরকারি বাস, মিনিবাস অন্য দিনের তুলনায় কম চলছে। বিভিন্ন জেলাতেও বেসরকারি বাসের সংখ্যা কম। ফলে ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের।
হাওড়া ব্রিজে যান চলাচল অন্যান্য দিনের মতই স্বাভাবিক ৷ পাশাপাশি, হাওড়ার সাঁতরাগাছি এলাকাতেও যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে । খোলা রয়েছে শহরের প্রতিটি বাজার হাট ৷ যদিও কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷
অন্যদিকে, দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে আর পাঁচটা দিনের মতো গাড়ির দেখা মিলল না। বুধবার সকাল থেকেই হুগলি সেতুতে গাড়ির সংখ্যা কম । সরকারি বাসের দেখা মিললেও বেসরকারি বাস হাতে গোনা । বনধের জন্য অনেক আগে থেকেই হাতে সময় নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছেন নিত্যযাত্রীরা ৷ এক নিত্যযাত্রীর মতে, কাজে যোগ দিতে যাবেন বলে বেড়িয়েছেন ৷ নির্ধারিত বাস স্টপে দাড়িয়েও বাসের দেখা মিলছে না ।
বুধবার সকালে বন্ধের প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন জেলায়। দিকে দিকে রেল অবরোধ করছেন বিজেপি সমর্থকেরা। স্টেশনে স্টেশনে ট্রেনের ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ বন্ধ সমর্থকদের হটাতে শুরু করেছে। দীর্ঘ ক্ষণ ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় বিপাকে নিত্যযাত্রীরা। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিশ এসে বন্ধ সমর্থকদের সরিয়ে দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে। দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলি রওনা দেয় গন্তব্য়ের দিকে।
ব্যারাকপুর স্টেশনেও রেল অবরোধ করছেন বিজেপি কর্মীরা। রেললাইন ধরে হাঁটছেন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী। বিজেপির সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়িয়েছে। অন্য দিকে, বন্ধের বিরোধিতায় পথে নেমেছে তৃণমূল। বিজেপির মিছিলকে ধাওয়া করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। রেললাইন ধরে ছুটতে দেখা যায় কৌস্তভকে। পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে কিছু ক্ষণ পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।