স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, আরজি কর কাণ্ডের পর এবার ছাত্র সমাবেশের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি কর কাণ্ডের পর প্রবল চাপে রাজ্য সরকার। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও তুলেছে বিজেপি। বুধবার মেয়ো রোড থেকে সেই বিজেপিকেই একহাত নিলেন মমতা। এদিন বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, ”আজকের দিন আরজি করের নির্যাতিতা বোনকে উৎসর্গ করতে চাই। এর মাঝে একাধিক স্থানে এমন ঘটনা ঘটেছে। আজ বনধ ডেকেছে বিজেপি। কারণ ওদের বডি চাই। ওরা আসল আন্দোলনে জল ঢেলে, চক্রান্তে নেমেছে। বাংলায় চক্রান্ত করার খেলায় নেমেছে। আজও পুলিশকে মারধর করেছে। ট্রেনের সিগন্যাল বিভ্রাট করা হয়েছে। বাস আটকেছে।
আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দীর্ঘ বার্তা লেখেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, ‘আজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসটিকে আমি উৎসর্গ করছি আমাদের সেই বোনটিকে, যাঁকে আমরা কয়েক দিন আগে আরজি কর হাসপাতালে মর্মান্তিকভাবে হারিয়ে শোকাহত।’ এর আগে গতকাল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’ নবান্ন অভিযান করেছিল আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে। আজ আবার বিজেপির ডাকা বনধ। এই আবহে আজকের দিনে প্রতিবাদীদের মন ঘোরাতে বার্তা মমতার।
মমতার সংযোজন, ”বনধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। কীসের বনধ? বনধ চাইলে যাও, আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। খালি এজেন্সির ব্যবহার। কাল ডেডবডি নিতে এসেছিল। কারও চোখ নষ্ট করেছে। কারও পা ভেঙেছে। কারও কানে মেরেছে। পুলিশ সংযত থেকেছে। পুলিশ ওদের চক্রান্ত ভেস্তে দিয়েছে। ওরা ডেডবডি নিতে এসেছিল। পুলিশ নিজের রক্ত দিয়ে ওদের চক্রান্ত আটকাচ্ছে।”
রাজ্যের তরুণ প্রজন্মকে তাদের সামাজিক কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দিয়ে মমতা লিখেছেন, ছাত্র-ছাত্রী, যুবক-যুবতীদের একটা বড় সামাজিক ভূমিকা রয়েছে। সমাজ ও সংস্কৃতিকে জাগ্রত রাখার মধ্যে দিয়ে নতুন দিনের স্বপ্ন উপহার দেওয়া এবং চারপাশের সকলকে নতুন দিনের উজ্জ্বল ব্রতে উদ্বুদ্ধ করাই ছাত্র সমাজের কাজ। আজকের দিনে তাদের সকলের প্রতি আমার আবেদন এই প্রচেষ্টার উদ্বুদ্ধ হন, ব্রতী থাকুন। আমার ছাত্র ছাত্রী বন্ধুরা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সংকল্পে নিয়োজিত থাকুন।