স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করল সিবিআই। তবে সূত্রের খবর, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আর সেই খবর পৌঁছানোর পরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফার দাবিতে লালবাজার অভিযানের মধ্যেই এক আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার বলেন, ‘যেটা পুলিশ করতে পারেনি, সেটা সিবিআই করে দেখিয়েছে।’ অপর একজন বলেন, ‘তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করল। অথচ এখনও স্বাস্থ্যভবন থেকে অপসারণ করা হয়নি।’
সিবিআই তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর গত ১৫ অগস্ট তাঁকে প্রথম বার তলব করে সিবিআই। সেই দিন হাজিরা দেননি সন্দীপ। পর দিন অবশ্য সল্টলেকের রাস্তা থেকে সিবিআইয়ের গাড়িতে ওঠেন তিনি। সেই গাড়িতে সিবিআইয়ের এক আধিকারিকও ছিলেন। সন্দীপ যান সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতরে। তার পর থেকে ২৪ অগস্ট পর্যন্ত টানা ৯ দিন তাঁকে তলব করা হয় সিজিওতে। দৈনিক ১০ থেকে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সিবিআই দফতরে থাকতে হয়েছিল সন্দীপকে।
তবে প্রাক্তন দাপুটে এই অধ্যক্ষের গ্রেফতারিতে মোটেই খুশি নন নির্যাতিতার বাবা। সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার তিনি বলেন, “সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি নিয়ে খুশি নই। আরও যারা দোষী রয়েছে তারা যতক্ষণ গ্রেফতার না হবে, বিচারের আশায় আন্দোলন চালিয়ে যাব। শুধু সন্দীপ ঘোষ বা সঞ্জয় নয়, এর পেছনে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। তাদেরও গ্রেফতার করতে হবে।”
হাসপাতালেরই প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই তদন্ত শুরু হয়েছিল৷ সন্দীপের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতি, এমন কি মৃতদেহ পাচারের মতো গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার৷ সেই অভিযোগের তদন্তে একাধিক বার আরজি কর হাসপাতালে গিয়ে বিভিন্ন নথি সংগ্রহ করেছে সিবিআই৷ এমন কি, হাসপাতালের মর্গেও হানা দিয়েছিলেন সিবিআই অফিসাররা৷