স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, স্বাধীনতা দিবসের রাতে এমনই রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন মেয়েরা। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্টে দেখা যাচ্ছে, এলাকা ভিত্তিক রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন তালিকা অনুযায়ী, কলকাতা তো বটেই তার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও এই রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছে। এমনকী ভিন রাজ্যেও রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছে।
আবার পথে নামল বাংলা । ঠিক ৯ টা বাজতেই অন্ধকার হয়ে গেল কলকাতা থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা । রাজভবনে আলো নিভিয়ে প্রতিবাদে সামিল হলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান সিভি আনন্দ বোস । আরজি কর হাসপাতালে এলেন নির্যাতিতার বাবা ও মা । আগুনের পরশমণি গানের সুর ধ্বনিত হল নির্যাতিতার জন্য ।
নির্যাতিতার বাবা বলেন, “আজ 27 দিন বাদে আর জি করে যাঁরা আন্দোলন করছেন, আমি তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আমার মনের জোর এঁদের থেকে আসছে । আমার শিরদাঁড়া আর মনোবল শক্ত করে এসেছি । মন থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি । আমার আশীর্বাদ উপস্থিতি সব সময় রয়েছে।
মা বলেন, “আজ আমি আরজি করে এসেছি । আরজি কর আমার একটা মেয়ে কেড়ে নিয়েছে, কিন্তু লক্ষ লক্ষ ছেলে মেয়ে দিয়েছে । আজ একটু শান্তি পেয়েছি । আর পারছিলাম না, যাঁরা আমার জন্য পথে নেমেছেন, তাঁরাই আমার শক্তি ।”
আরজি করে পড়ুয়া-চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকে কলকাতার পাশাপাশি রাত দখলে সরব কবিগুরুর বোলপুর-শান্তিনিকেতন ৷ রতনপল্লী থেকে শান্তিনিকেতন- রাস্তাজুড়ে গানে গানে, স্লোগানে মিছিল করেন পড়ুয়া, আশ্রমিক, প্রাক্তনী, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সাধারণ মানুষজন ৷
আরজি কর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় স্লোগান ওঠে ‘রাজ্য-কেন্দ্র আতাঁত ছাড়ো, আরজি করের বিচার করো’ ৷পাশাপাশি মেদিনীপুর শহরের কলেজিয়েট চত্বরেই এই প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় । যেখানে হাজার হাজার মানুষ হাজির হন এবং প্রতিবাদে অংশ নেন । অন্যদিকে, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ পড়ুয়া ও ডাক্তার-সহ চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে জড়িত মানুষজন অংশগ্রহণ করেন এই কর্মসূচিতে ৷