স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ফের রাত দখলের ডাক। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর রবিবার ফের রাত দখল করতে পথে নামবেন মেয়েরা। মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার এক মাসের মাথায় এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হল। সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষকে এবারেও রাত দখলে ডাক দেওয়া হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডে প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। সোমবার ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। তাই তার আগের দিন রাতে এই কর্মসূচি ফের নেওয়া হয়েছে।
গত ১৪ অগস্ট রাত দখলের আহ্বানে মানুষের হিল্লোল দেখেছিল গোটা বাংলা। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর রাতে ফের রাত দখলের ডাক দিয়েছেন রিমঝিমেরা। সেই সময়েই রিমঝিমেরা জানিয়েছিলেন, বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমন্বয়কেরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নিজেদের এলাকায় কর্মসূচি নিচ্ছেন। এ বার সেটাকেই সংগঠিত রূপ দিতে চাইছেন তাঁরা। ‘বিকল্প মানুষের ইতিবাচক সমন্বয়ক’ মঞ্চ গড়ার ডাক দিয়ে মহিলাদের সুরক্ষা, অধিকারকে সুনিশ্চিত করার কথাও বলেছেন।
পাশাপাশিই তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, এই মঞ্চে রাজনৈতিক নেতাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। তবে সাধারণ কর্মীরা শামিল হতেই পারেন। কেন নেতারা নিষিদ্ধ? এই প্রশ্নে রুবিয়া বলেন, ‘‘নেতারা নীতি নির্ধারণের জায়গায় রয়েছেন। তাঁরা সুরক্ষা দিতে পারছেন না, পারেননি। তাই তাঁদের এই মঞ্চে প্রয়োজন নেই। তবে সাধারণ যে কর্মী হয়তো বাধ্য হয়ে সেই দল করেন, পোস্টার লাগান, তাঁরা অবশ্যই স্বাগত।’’
এই ঘটনা নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। অগস্ট মাসের পর সেপ্টেম্বর মাসেও অভিযানে হবে। এখন সামনে দুর্গাপুজো। তার প্রাক্কালে একের পর এক অভিযান হলে সমস্যায় পড়বেন সর্বস্তরের মানুষজন। আজ, শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে রিমঝিমরা জানান, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর রাতে সকলে পথে নামা হবে আবার। আর এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘শাসকের ঘুম ভাঙাতে নতুন গানের ভোর’। গানের দল, নাচের দল, সাংস্কৃতিক জগতের নানা ব্যক্তিত্বকে এই কর্মসূচিতে থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিমঝিম সাংবাদিক বৈঠকে ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ ছবির কথা উল্লেখ করেন। শাসকের ঘুম ভাঙানোর উদাহরণ হিসেবে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।