স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, আরজি কর মামলায় সোমবার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে । প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এদিন আরজি কর কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি হবে। এদিন আদালত কী নতুন নির্দেশ বা পর্যবেক্ষণ করে, সেদিকেই তাকিয়ে সবাই। পাশাপাশি নজর থাকবে সিবিআইয়ের জমা দেওয়া স্ট্যাটাস রিপোর্টের দিকেও। সুপ্রিম কোর্টের এই শুনানির আগে রবিবার গোটা দেশের বিভিন্ন শহরের সঙ্গে বিশ্বের ১৩০টিরও বেশি শহরে বিচার চেয়ে মানুষ রাস্তায় নেমেছেন।
তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকে যে প্রতিবাদ আছড়ে পড়েছে রাজপথে, এই শুনানির পরে তা কি কিছুটা হলেও প্রশমিত হতে চলেছে – প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে সমাজের বিভিন্ন স্তরে। এই শুনানি হওয়ার কথা ছিল ৫ সেপ্টেম্বর।
কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অসুস্থ থাকায় তা পিছিয়ে যায়। তবে, ৫ তারিখকে সামনে রেখে ৪ সেপ্টেম্বর যে রাত দখল দেখেছিল শহর, রবিবার তার মাত্রা ও উদ্দীপনা ছিল আরও বেশি, দাবি উঠেছে এমনই। সুপ্রিম-শুনানির আগে রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রেখে যে বিনিদ্র রাত কাটালেন নাগরিকেরা, তা যাদবপুর, শ্যামবাজার, গড়িয়া, লেক টাউন, সোদপুর, ব্যারাকপুর থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল রায়গঞ্জ, কোচবিহার, নৈহাটি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।
অতীতে সিবিআইয়ের বেশ কিছু তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে বহুবার সমালোচনা হয়েছে। তবে এবার আরজি করের নির্যাতিতার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিচার চেয়ে বাংলার মানুষের অসন্তোষ ও অসহিষ্ণুতা এতটাই যে কোনও দীর্ঘসূত্রিতাই বরদাস্ত করতে চাইছে না কেউ। ফলে সিবিআই সোমবার তাদের স্ট্যাটাস রিপোর্টে কী জানায় তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে অনেকেই। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টও কী অবস্থান নেয় তারও অপেক্ষা রয়েছে।
গত ৯ অগস্টের ঘটনার পর রবিবার নিয়ে একাধিকবার ‘রাত দখল’ কর্মসূচি হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সাফ কথা, যতদিন না বিচার পাচ্ছেন, ততদিন এই প্রতিবাদ চলবে। সোমবারের সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগে এই কর্মসূচি করে কড়া বার্তাই দিতে চেয়েছেন তাঁরা। এখন সকলে তাকিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দিকে।