স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার ৩৫ দিন পরে একসঙ্গে দু-দুজনকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। এদের মধ্যে একজন ওই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং দ্বিতীয়জন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। সন্দীপকে আগেই দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই গ্রেপ্তার করায় তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। ফলে, শনিবার জেলবন্দি প্রাক্তন অধ্যক্ষকে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় অ্যারেস্ট দেখানো হয়।
শনিবার এক সিবিআই কর্তা বলেন,‘ঘটনার খবর পেয়ে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল অকুস্থলে গিয়েছিলেন। ভিতরে একাধিক লোককে ঢুকতে দেন তিনি। যার ফলে বহু তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হয়ে যায়। এসব বিষয়ে তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু জানার ছিল আমাদের। কিন্তু প্রথম থেকেই তদন্তে অসহযোগিতা করছিলেন তিনি। অসুস্থতার কথা বলে জিজ্ঞাসাবাদও এড়িয়ে যাচ্ছিলেন।’
রাজনীতিতে অনেক কিছুই ধারণায় চলে। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রথম দিন থেকে অভিযোগ ছিল আরজি করে প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। তাঁদের মতই বিপুল সংখ্যক মানুষও তা মনে করেন। প্রকৃতপক্ষে কী হয়েছে অবশ্য তা অনেকেই জানেন না। কারণ, তদন্ত শেষ হয়নি। কিন্তু টালা থানার ওসি গ্রেফতার হওয়ার পর জুনিয়র ডাক্তারদের সেই সন্দেহ ও অভিযোগ আরও জোরাল হয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, এর পর জুনিয়র ডাক্তাররা আর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে যাবেন কিনা সংশয় রয়েছে। তাঁরা এও মনে করছেন, শনিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের যদি বৈঠক হয়েও যেত, তাহলেও সন্দীপ ও টালা থানার ওসি গ্রেফতারের পর তাঁরা হয়তো ব্যাকট্রাক করে যেতেন। কারণ, সিবিআইয়ের পদক্ষেপ তাঁদেরকে যারপরনাই শক্তি জুগিয়েছে। তাঁদের দরকষাকষির জায়গাটা এখন অনেক বেশি মজবুত। সরকারের পক্ষে বরং ব্যাপারটা এখন ব্যাক টু স্কোয়ার ওয়ান। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগে রবিবার ও সোমবার দিনটা তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ।