স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, ডিভিসির ছাড়া জলের জন্যই পুজোর মুখে বাংলার জেলায় জেলায় বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হল বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি নিজে মঙ্গলবার ডিভিসির সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছিলাম। ডিভিসি আরও ২ লক্ষ কিউসেক জল ধরে রাখতে পারতো। তবু পরিকল্পিতভাবে জল ছেড়ে বাংলাকে ডোবাল! এটা ম্যান মেড বন্যা।”
ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলাগুলিতে নজরদারির জন্য বিশেষ সচিবদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্লাবন পরিস্থিতির জন্য রাজ্যের ১০ জেলায় ১০ জন সচিবকে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান আলাপন। এবার বন্যা পরিস্থিতি সরোজমিনে খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
বুধবার নতুন করে জল ছাড়ায় ডিভিসির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে হুগলিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ডিভিসি আরও ২ লক্ষ কিউসেক জল ধরে রাখতে পারত। আমরা বহুবার তাদের অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু লাভ তো হয়নি উল্টে তারা লাগাতার জল ছাড়ার কারণে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধকে পাত্তা না দিয়ে ডিভিসি বুধের পর বৃহস্পতিতেও ৮০ হাজার কিউসেক জল ছেড়ে রাজ্যের বিপদ যে আরও বাড়াল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
রাজ্যের বন্যা ‘ম্যান মেড’ বলে তোপ দেগেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বাঁধ গুলিতে যখন জল কম থাকে তখন ছাড়া হয় না। পরে পরিস্থিতি হাতের বাইরে গেলে জল ছাড়া হয়। তিনি বলেন, “যখন ৭০-৮০ শতাংশ জল ভরে যায়, তখন কেন জল ছাড়ে না ডিভিসি? কেন্দ্র ড্রেনেজ করে না। নিজেদের রাজ্যগুলোকে বাঁচাচ্ছে। আর সবটা বাংলার উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলা আর কত বঞ্চনা সহ্য করবে বাংলাকে পরিকল্পিত ভাবে ডোবানো হয়েছে।” পুরশুড়া থেকে মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুর যাবেন। সেখানেই রাত্রি বাস করবেন তিনি। আগামীকাল ঘাটালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
হুগলির পুরশুড়া-সহ তারেকশ্বর এলাকাগুলি ডুবে গিয়েছে নদীর জলে। বাসিন্দাদের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই জেলা শাসককে ডেকে পাঠিয়ে তাঁকে বিভিন্ন নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।