স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়ে পঞ্চমবার ই-মেল নবান্নের। সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ আন্দোলনকারীদের ফের ই-মেল করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে আজ বিকেল ৫টার সময় বৈঠক হবে বলে জানানো হয়েছে মেলে। ই-মেলে স্পষ্ট বলা হয়েছে, যেহেতু মামলাটি আদালতে বিচারাধীন তাই বৈঠকের কোনও লাইভ স্ট্রিমিং বা ভিডিয়োগ্রাফি করা যাবে না। পরিবর্তে বৈঠকের একটি মিনিটস প্রস্তুত করা হবে, যেখানে সই করবে দু’পক্ষই। এ দিন বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিট নাগাদ আন্দোলনকারীদের বৈঠকস্থলে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
লাইভ স্ট্রিমিং কিংবা ভিডিয়োগ্রাফির গেঁরোয় নবান্নের সভাঘরের বৈঠক ভেস্তে যায়। এরপর শনিবার কালীঘাটের বৈঠকে যে বিষয়টি নিয়ে সর্বোপরি আলোচনা হয়, সেটি হল লাইভ স্ট্রিমিং কিংবা ভিডিয়োগ্রাফি। প্রথমদিকে আন্দোলনকারীরা এই দাবিতে অনড় থাকলেও, পরে তাঁরা কার্যত ‘সব ‘না’ মেনে নিয়েছিলেন’ বলেও দাবি করেন। কিন্তু দীর্ঘ টানাপোড়েনে ভেস্তে গিয়েছিল বৈঠক। এবার মুখ্যসচিবের তরফে যে মেইল করা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, যেহেতু এটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন বিষয়, তাই লাইভ স্ট্রিমিং কিংবা ভিডিয়োগ্রাফি হবে না।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সেখানে অবশ্যই আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাজে যোগ না দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপিত হবে। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের বিষয়টিও। সেক্ষেত্রে প্রশাসন আরও একবার বৈঠকের দরজা খোলা রাখল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডাক্তারদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর ওই কথা শুনে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করি। তারপর যখন বলতে গেলাম তখন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, আর হবে না। অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আমরা ২-৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। আর আলোচনা সম্ভব নয়। আমরা তো এতটা নামলাম। যাতে অচলাবস্থা কাটতে পারে তার জন্য তার জন্য সবকিছু ছাড়লাম। তার পরে আমাদের কী বলা হল? আমাদের বলা হল আপনারা বেরিয়ে যান, নয়তো আপনাদের বাস ডেকে বের করে দেওয়া হবে। এরপর স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বেরিয়ে গেলেন। আমরা ৩৫ দিন অপেক্ষা করছি। আমরা আলোচনা করতে এসেছিলাম।কিন্তু আমাদের একপ্রকার ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হল। আমরা হতাশ। তবে আশাবাদী।