স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেক্স, দিল্লি হাইকোর্ট মঙ্গলবার আবগারি নীতি মামলায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে একটি ট্রায়াল কোর্টের দেওয়া নিয়মিত জামিনে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। বিচারপতি সুধীর কুমার জৈনট্রায়াল কোর্ট এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দ্বারা জমা দেওয়া প্রমাণগুলিকে যথেষ্ট প্রশংসা করেনি বলে অভিমত দিয়েছে৷ বিচারক অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি) এসভি রাজুর যুক্তির সাথেও একমত হয়েছেন যে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তার স্থগিতাদেশের আবেদনের পক্ষে যুক্তি দেওয়ার পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হয়নি।
আপাতত জেলবন্দিই থাকতে হচ্ছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির জাতীয় কনভেনার অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। ফের একবার জামিনের মামলায় ধাক্কা খেলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এবার নিম্ন আদালতে কেজরিওয়ালের জামিনের নির্দেশে দিল্লি হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করে দিয়েছে। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে আবগারী দুর্নীতি মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
নিম্ন আদালত অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের আবেদনে সায় দিলেও, সেই নির্দেশে দিল্লি হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে দিয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টের ভ্যাকেশন বেঞ্চের বিচারপতি সুধীর কুমার জৈন বলেন, আবেদন গৃহিত হলেও নির্দেশের কার্যকারিতা স্থগিত করা হল। এদিনের রায়ে নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণকে বেশ কিছুটা সমালোচনা করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।
এর আগে, নিম্ন আদালতে, ইডির তরফে পেশ করা বিপুল নথিকে জামিনের যুক্তির জন্য গ্রাহ্য করা হয়নি, নিম্ন আদালতের সেই পর্যবেক্ষণের সমালোচনা করে দিল্লি হইকোর্ট। ভর্ৎসনার সুরে দিল্লি হাইকোর্ট বলেছে, ‘নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণে যে বিশাল উপাদান বিবেচনা করা হয়নি, তা সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক এবং এটি দেখায় যে ট্রায়াল কোর্ট উপাদানটির প্রতি তার বুদ্ধি প্রয়োগ করেনি।’