স্পেশাল রিপোর্ট ওয়েব ডেস্ক, সঠিক ভাবে ময়নাতদন্ত হয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। তখন সিবিআইয়ের তরফেও জানানো হয়, ময়নাতদন্ত কখন করা হয়েছে— সেই সময়ের উল্লেখ নেই। যদিও রাজ্যের আইনজীবীর যুক্তি, সব কিছু উল্লেখ রয়েছে। তখন প্রধান বিচারপতির এজলাসে এডুলজি বলেন, “দুপুর আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শুধুমাত্র ১০ বার জিডি এন্ট্রি করা হয়েছে। পুরোটা পরে তৈরি করা হয়নি তো? অনেক রহস্য রয়েছে।”
সেই সংশয়ের প্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সন্দেহ হলে তাঁর কাছে রিপোর্ট চাওয়া হোক। সিবিআইয়ের তরফও আদালতে জানানো হয়, ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়ে তাদের মনেও প্রশ্ন রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সেটি এমসে পাঠাতে চায়।
বডি চালান জানতে চান প্রধান বিচারপতি। চালান খুঁজে পাননি কপিল সিব্বল। কনস্টেবলের হাতে থাকা উচিত ছিল চালান। বিচারপতি পর্দিওয়ালা বলেন, এই নথি যদি খুঁজে না পাওয়া যায়, তাহলে প্রশ্ন উঠবে। এইআইআরে অন্তত ১৪ ঘণ্টা দেরি হয়েছে, বললেন প্রধান বিচারপতি।
পশ্চাৎদেশ ভাঙা না হলে পা ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ঘোরানো যেতে পারে না, এমনটাই বললেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। তাঁর দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে এক্স রে প্লেট মিলিয়ে দেখা হোক।
এফআইআর না হলে ফরেনসিক টিম পাঠানো যায় না, ফের প্রশ্ন তুললেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। এখানে কি করে তা সম্ভব হল। তিনি আরও বলেন, ভ্যাজাইনাল সোয়াব, ব্লাড ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে সংরক্ষণ করা উচিত। সেটা করা হয়নি।
তুষার মেহতা বলেন, ‘ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রথম পাঁচ ঘন্টা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই সময় অসংখ্য লোককে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। পাঁচ দিন পর যখন আমরা তদন্ত শুরু করেছি তখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।’
আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন, কে ভিডিয়োগ্রাফ করেছে? কোন উল্লেখ নেই। কী তার নাম, কী পদ। উত্তরবঙ্গ লবির তিনজন মহিলা ডাক্তার ছিলেন বলে অভিযোগ তাঁর। তিনি আরও বলেন, সবথেকে বড় রহস্য, দুপুর আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে মাত্র ১০ টা জিডি এন্ট্রি হয়েছে টালা থানায়।
আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দূরত্ব কত, সেটাই জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। উত্তরে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন, ‘১৫ থেকে ২০ মিনিটের দূরত্ব’। উল্লেখ্য, সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। বর্তমানে দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি।